শ্রীলঙ্কা থেকে ফেরত আসা ১১ শ্রমিকের কোনও ক্রিমিনাল রেকর্ড পাওয়া যায়নি : মনিরুল ইসলাম

609

ঢাকা, ২৭ এপ্রিল, ২০১৯ (বাসস) : শ্রীলঙ্কা থেকে ফেরত আসা ১১ বাংলাদেশি শ্রমিকের কারও বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনও ক্রিমিনাল রেকর্ড পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন কাউন্টার টেরোরিজম এ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মনিরুল ইসলাম।
তিনি আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টু রোডে ডিএমপি’র কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম বিভাগে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা জানান।
মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘এব্যাপারে বিস্তারিত খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে। আমরা জেনেছি এই হামলা ও ফ্যাক্টরির মালিকের সঙ্গে তাদের কোনও সংশ্লিষ্টতা নেই। তবে বাংলাদেশে ফেরত আসার পর আমরা তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। জিজ্ঞাসাবাদে তাদের বিরুদ্ধে শ্রীলঙ্কায় সন্ত্রাসী হামলার সাথে সম্পৃক্ততার কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। এখনও জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। কোনও সংশ্লিষ্টতা না পেলে তাদের বিরুদ্ধে কোনও আইনি ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ নেই। এখন পর্যন্ত তারা হামলা সম্পর্কেও কোনও তথ্য দিতে পারেনি।’
তিনি বলেন, শ্রীলঙ্কায় সন্ত্রাসী হামলায় ইনসাফ আহমেদ ইব্রাহিমের নাম আসায় দেশটির সরকার কলসাস মেটাল ফ্যাক্টরি বন্ধ করে দেয়। বন্ধ করার পর ওই ফ্যাক্টরিতে কর্মরত কর্মকর্তা ও শ্রমিকদের জিজ্ঞাসাবাদ করে দেশটির আইনশৃংখলা বাহিনী। ফ্যাক্টরিতে কর্মরত ১১ বাংলাদেশীর ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ায় তাদেরকে শ্রীলঙ্কায় অবস্থিত বাংলাদেশ দুতাবাসে হস্তান্তর করলে তাদেরকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়। সেখানে আরও অন্যান্য দেশের শ্রমিকরা ছিল তাদেরও ফেরৎ পাঠানো হয়েছে।
সিটিটিসি প্রধান বলেন, মূলত ১১জন বাংলাদেশী টুরিস্ট ভিসা নিয়ে শ্রীলঙ্কায় গিয়ে স্বল্প বেতনে কলসাস মেটাল ফ্যাক্টরিতে কাজ করতো। তারা ওই ফ্যাক্টরিতে তামার তৈজসপত্র তৈরি করতো। এরা ছিল একেবারে সাধারণ শ্রমিক। ফ্যাক্টরির মালিকের সাথে তাদের কোন যোগাযোগ ছিল না।
এক প্রশ্নের জবাবে মনিরুল ইসলাম বলেন, বৈশ্বিক ঝুঁকির প্রেক্ষিতে আমাদের দেশ ঝুঁকিতে থাকলেও কোনো হামলার আশঙ্কা নেই। কোনো হুমকি বা হামলার কোনো তথ্য এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে নেই।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে যেসব নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন রয়েছে, তারা নিউজিল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কার ঘটনায় অনুপ্রানিত হতে পারে। তবে বর্তমানে এসব জঙ্গি সংগঠনের কোন ধরণের দুর্ঘটনা ঘটানোর শক্তি বা সামর্থ্য নেই। আমরা সজাগ ও তৎপর রয়েছি।
গত রোববার ‘ইস্টার সানডে’র দিন শ্রীলঙ্কায় জঙ্গি হামলায় ২৫৩ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে আরো অনেকে।