বাজিস-১ : কুষ্টিয়ার কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে আলোর পথ পেয়েছে হাবিব

302

বাজিস-১
কুষ্টিয়া- কারাগার
কুষ্টিয়ার কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে আলোর পথ পেয়েছে হাবিব
কুষ্টিয়া, ২৬ এপ্রিল, ২০১৯ (বাসস) : মাদক মামলার আসামী মোঃ হাবিবুর রহমান কুষ্টিয়া জেলা কারাগারে ১৪ মাস অবস্থান কালে স্বাক্ষর জ্ঞান লাভ এবং ইলেকট্রিক হাউজ ওয়্যারিং এ ৩ মাসের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে সে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে গেছে। সে কুষ্টিয়া কারাগার থেকে ২ মাস আগে জামিনে মুক্তি পেয়ে নিজ গ্রাম-কুষ্টিয়া কুমারখালী উপজেলার খোদ্দ ভালুকা বাজারে ইলেকট্রনিক ও হাউজ ওয়্যারিং কাজ করে অর্থ উপার্জন শুরু করে। তার এ কাজে গ্রামবাসী অভিভুত হন এবং তাকে আরো উৎসাহিত করার জন্য বাঁশ গ্রাম বাজারের বণিক সমিতির সভাপতি একটি দোকান স্থাপনের ব্যবস্থা করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে হাবিবুর রহমানের ইলেকট্রিক দোকানটি কুষ্টিয়া জেল সুপার জাকের হোসেন উদ্ধোধন করেন।
এ সময় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এর সহকারী পরিচালক শিরীন আক্তারসহ স্থানীয় জন প্রতিনিধি, এলাকার বিভিন্ন শ্রেণীর পেশার মানুষসহ স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। কুষ্টিয়া জেলা কারাগারের মাদকের বিরুদ্ধে এ সচেনতা, আত্মোপলব্ধি ও সংশোধনের এ ার্যক্রমের উপস্থিত অনেকে প্রশংসা এ উদ্যোগের প্রশংসা করেন। আলোচনা সভা শেষে জেল সুপার জাকের হোসেন হাবিবুর রহমান ও তার স্ত্রীকে ইলেকট্রিক সামগ্রীর উপহার প্রদান করেন। জেল সুপার জাকের হোসেন জানান, মাদক মামলার ১৮ জন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বন্দী কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে ইলেকট্রিক ও হাউজ ওয়্যারিং- এর বিভিন্ন স্থানে দোকান দিয়ে তারা অর্থ উপার্জন করে আত্মনির্ভরশীল হচ্ছে। কুষ্টিয়া কারাগারে এ পর্যন্ত ১৬০ জন বন্দীকে কারা রক্ষীকে ইলেকট্রিক ও হাউজ ওয়্যারিং প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।
মাদক মামলায় কারাবন্দি থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত হাবিবুর রহমান জানান, সে দীর্ঘদিন থেকে মাদকাসক্ত ছিলেন। গত কয়েক মাস আগে সে মাদকের মামলায় কুষ্টিয়া কারাগারে অন্তরীণ ছিল। এ সময় সেখানে ইলেকট্রিক ও হাউজ ওয়্যারিং কাজে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে। এখন সে নিজেই ইলেকট্রিকের কাজ করতে পারে। স্থানীয় এলাকাবাসীর উদ্যোগে তার এলাকার বাজারে একটি ইলেকট্রিক সামগ্রীর দোকানও দিয়েছে। এতে তার সংসার চলছে ভালোভাবে। সে আরও জানায়, সে আর কোনদিন মাদক সেবনের পথে যাবে না।
বাসস/সংবাদদাতা/১১৫০/মরপা