আগামীকাল শুরু হচ্ছে ওয়ালটন ৫ম জাতীয় সার্ফিং

433

ঢাকা, ২২ এপ্রিল, ২০১৯ (বাসস) : বাংলাদেশ সার্ফিং এসোসিয়েশনের উদ্যোগে এবং দেশের অন্যতম ইলেক্ট্রোনিক্স পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ওয়ালটনের পৃষ্ঠপোষকতায় আগামীকাল শুরু হতে যাচ্ছে ‘ওয়ালটন ৫ম জাতীয় সার্ফিং প্রতিযোগিতা ২০১৯’। কক্সবাজারের লাবণী পয়েন্টে তিন দিনব্যাপী এ প্রতিযোগিতায় পুরুষ, মহিলা ও মহিলা জুনিয়র বিভাগে অন্তত ১৫০ জন সার্ফার ৯টি পদকের জন্য লড়াই করবে।
টুর্নামেন্ট উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তার বাণীতে বলেন, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সার্ফিং অত্যন্ত জনপ্রিয় ও দৃষ্টিনন্দন খেলা হলেও বাংলাদেশের ক্রীড়াজগতে সার্ফিংয়ের আনুষ্ঠানিক সংযোজন সাম্প্রতিকালে। সমুদ্রের উঁচু উঁচু ঢেউয়ে সার্ফিং জলক্রীড়া অনিন্দ্যসুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি করে। বাংলাদেশের দক্ষিণে রয়েছে বিশাল বঙ্গোপসাগর। তিনি বলেন, কক্সবাজারে রয়েছে পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত যা সার্ফিং খেলার জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো ও আকর্ষণীয় পরিবেশ নিশ্চিত করছে। সার্ফিং টুর্নামেন্টের মাধ্যমে একদিকে যেমন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের সুনাম-সুখ্যাতি আরও বৃদ্ধি পাবে, অপরদিকে দেশের পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে এটি হতে পারে একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।
তিনি বলেন, পর্যটন নগরী কক্সবাজারের সৌন্দর্য ও গুরুত্বকে বাড়িয়ে দিতে এ ধরনের আয়োজন সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে। সার্ফারদের পাশাপাশি সমুদ্রের টানে প্রতিদিন ছুটে আসা অগণিত দেশি-বিদেশী পর্যটকের মনে বাড়তি আনন্দের খোরাক যোগাবে এই জলক্রীড়া, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে তৈরি হবে নতুন দিগন্ত।
রাষ্ট্রপতি বলেন, সার্ফিংকে জনপ্রিয় করতে প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতার পাশাপাশি যথাযথ অনুশীলন এবং নিয়মিত জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা আয়োজন খুবই জরুরি বলে আমি মনে করি। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, পঞ্চম জাতীয় সার্ফিং টুর্নামেন্ট বাংলাদেশের সার্ফিং সম্ভাবনাকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে এবং এই আয়োজনের মধ্য দিয়ে আমাদের পর্যটন শিল্প এবং অর্থনীতি সমৃদ্ধ হবে।
রাষ্ট্রপতি পঞ্চম ‘জাতীয় সার্ফিং টুর্নামেন্ট ২০১৯’এর সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বাণীতে বলেন, সমুদ্র তীরবর্তী উন্নত দেশগুলোতে সার্ফিং অত্যন্ত জনপ্রিয় ও রোমাঞ্চকর একটি সামুদ্রিক খেলা। দর্শকদের তা ব্যাপক আনন্দ দিয়ে থাকে। বাংলাদেশে সার্ফিং খেলার মত সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। কক্সবাজারে পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত। আমাদের দেশের ছেলে-মেয়েদের কেউ কেউ নিজেদের উদ্যোগে সার্ফিং খেলার চর্চা করছে। স্থানীয় সেসব সার্ফারকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও সহযোগিতা প্রদানের মাধ্যমে দেশে সার্ফিং খেলাকে প্রতিষ্ঠিত করতে এগিয়ে এসেছে বাংলাদেশ সার্ফিং এসোসিয়েশন।
তিনি বলেন, সার্ফিং একদিকে যেমন অলিম্পিক ইভেন্ট, অন্যদিকে সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য্যরে প্রতীক। তাই পর্যটন নগরী কক্সবাজারের পর্যটকদের জন্য এই খেলা বাড়তি আকর্ষণে পরিনত হবে। অপরদিকে সার্ফারদের দেশের জন্য সুনাম বয়ে আনার পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিতেও বড় অবদান রাখবে।
আওয়ামী লীগ সরকার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে খেলাধুলাকে গুরুত্ব দিয়ে আসছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সার্ফিং প্রতিযোগিতার মধ্যদিয়ে তরুণ সমাজ নিজেদের নতুন করে গড়ে তোলার মাধ্যমে দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।
বাংলাদেশ সার্ফিং এসোসিয়েশনের উদ্যোগে পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত পর্যটন নগরী কক্সবাজারে ২৬ থেকে ২৮ এপ্রিল পঞ্চম জাতীয় সার্ফিং টুর্নামেন্টের আয়োজন করায় প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ এবং পঞ্চম জাতীয় সার্ফিং টুর্নামেন্ট ২০১৯-এর সার্বিক সাফল্য কামনা করেন। তিনি বাংলাদেশ সার্ফিং এসোসিয়েশনের উত্তরোত্তর উন্নতি কামনা করে এ উপলক্ষে দেশী-বিদেশী সকল সার্ফার, অতিথি, আয়োজক সংস্থাসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে শুভেচ্ছা জানান।