বাসস দেশ-১৪ : নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে বাংলাদেশে দ্রুত শিল্পায়নে সম্পদ ও প্রযুক্তি সহায়তা প্রয়োজন : শিল্পমন্ত্রী

118

বাসস দেশ-১৪
শিল্পমন্ত্রী-বেইজিং
নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে বাংলাদেশে দ্রুত শিল্পায়নে সম্পদ ও প্রযুক্তি সহায়তা প্রয়োজন : শিল্পমন্ত্রী
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল, ২০১৯ (বাসস) : শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে বাংলাদেশের দারিদ্র্য বিমোচন, দ্রুত শিল্পায়ন এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নে প্রচুর সম্পদ ও প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, চীন এক্ষেত্রে তাদের সহায়তা সম্প্রসারণ করতে পারে। কারণ চীন ইতোমধ্যে বাংলাদেশে বৃহৎ বাণিজ্যিক অংশীদার এবং গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন সহযোগি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে।
দ্বিতীয় বেল্ট অ্যান্ড রোড ফোরাম উপলক্ষে চীন সফররত শিল্পমন্ত্রী আজ বৃহস্পতিবার ‘ব্যাপক পরামর্শ, যৌথ উদ্যোগ এবং অংশীদারিত্বের মাধ্যমে সুফল ভোগের জন্য নীতি সহায়তা ও সম্মিলিত প্রয়াস জোরদারকরণ’- শীর্ষক থিমেটিক সেশনে বক্তৃতাকালে এ কথা বলেন।
বেইজিংয়ের চায়না ন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারের (সিএনসিসি) মাল্টিফাংশানাল হলে এ সেশন অনুষ্ঠিত হয়। জাতিসংঘের শিল্প উন্নয়ন সংস্থার (ইউনিডো) মহাপরিচালক লি ইয়াংয়ের সঞ্চালনায় থিমেটিক সেশনে বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা আলোচনায় অংশ নেন। এ সময় গণচীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ফজলুল করিম উপস্থিত ছিলেন।
আজ ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
এতে উল্লেখ করা হয়, নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের (বিআরআই) আওতায় আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক কানেক্টিভিটি জোরদারের সুযোগ বাংলাদেশের উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে প্রবৃদ্ধির চালিকাশক্তি হিসেবে ভূমিকা রাখবে।
তিনি বলেন, এ উদ্যোগ বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে অবদান রাখবে।
কাক্সিক্ষত উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশ প্রতিবেশি রাষ্ট্র এবং উন্নয়ন সহযোগিদের সাথে শক্তিশালী অর্থনৈতিক সহযোগিতা গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে বলে তিনি জানান।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাপী মুক্ত অর্থনীতির উন্নয়ন এবং বহুপক্ষীয় বাণিজ্য স্বার্থ সুরক্ষায় বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগ একটি সম্মিলিত প্রয়াস। এ উদ্যোগের সুফল ভোগে বাংলাদেশ এশিয়া অঞ্চল এবং এর বাইরের দেশগুলোর সাথে অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও বাণিজ্য কানেক্টিভিটি জোরদারে কাজ করছে।
যে কোনো রাষ্ট্রের একক প্রচেষ্টার চেয়ে আঞ্চলিক কিংবা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সম্মিলিত উদ্যোগ উন্নয়ন অভিষ্ট অর্জনে অধিক কার্যকর এ কথা উল্লেখ করে শিল্পমন্ত্রী বলেন, শিল্পায়ন, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, বাণিজ্য সম্প্রসারণ, জনগণের মধ্যে যোগাযোগ ও সাংস্কৃতিক বিনিময়, পর্যটন শিল্পের বিকাশ, জ্বালানি নিরাপত্তা, ইনোভেশন ও পরিবেশ সুরক্ষার মত বিষয়গুলোতে সম্মিলিত উদ্যোগ দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়ক হবে।
দ্বিতীয় বেল্ট অ্যান্ড রোড ফোরাম উপলক্ষে আজ ১২টি থিমেটিক সেশন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিশ্বের ১৫০টি দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে ৫ শতাধিক প্রতিনিধি অংশ নেয়। আগামীকাল (২৬ এপ্রিল) বিশ্বের ১৫০টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান এবং মন্ত্রীদের উপস্থিতিতে দ্বিতীয় বেল্ট অ্যান্ড রোড ফোরাম এবং উচ্চ পর্যায়ের সভা আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হবে।
গণচীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এর উদ্বোধন করবেন।
বাসস/সবি/জেডআরএম/১৭২০/জেজেড