রাজধানীতে শুরু হলো যাত্রা উৎসব

396

ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০১৯ (বাসস) : যাত্রাপালা বাঙালি সংস্কৃতির প্রাচীন একটি শক্তিশালী মাধ্যম। এই শিল্পের কার্যক্রমকে তৃণমূল পর্যায়ে পৌছে দেয়ার আহবান জানিয়েছেন বক্তারা। তারা বলেন, যাত্রাপালাকে হারিয়ে যেতে দেয়া হবে না। এ জন্যই শহরে এর ব্যাপক মঞ্চায়ন করতে হবে।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একডেমি আয়োজিত যাত্রা উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা এই অভিমত রাখেন। গতকাল সন্ধ্যায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে এই উৎসব উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম।
এইচ টি ইমাম বলেন , বর্তমান সরকার বাঙালি সংস্কৃতির প্রাচীন সকল উপকরণকে টিকিয়ে রাখার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। যার অংশ হিসেবেই শহর নিয়ে আসা হয়েছে গ্রামের সংস্কৃতির ঐতিহ্য যাত্রাপালা। তিনি এই শিল্পকে তৃণমূল পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান।
নাট্যজন আতাউর রহমান বলেন, যাত্রাপালাই আমাদের সংস্কৃতির শিকড়। যে পালা ছিল গ্রামের মানুষের বিনোদনের প্রধান উৎস। একে শিল্পকলা একাডেমি সারাদেশে মঞ্চস্থ করার ব্যবস্থা করে আমাদের সংস্কৃতির ইতিহাসকে লালন করছে।
শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তৃতা করেন ভারপ্রাপ্ত সংস্কৃতি সচিব ড. মো: আবু হেনা মোস্তফা কামাল ও একাডেমির নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের পরিচালক মো: বদরুল আনাম ভূইয়া।
অনুষ্ঠানে যাত্রাশিল্পে বিশেষ অবদান রাখান জন্যে ভিক্টর দানিয়েল, গৌরাঙ্গ আদিত্য ও সুলতান সেলিমকে সস্মাননা দেওয়া হয়। নৃত্যগানের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা ঘটে। উৎসব প্রাঙ্গণে যাত্রাশিল্পের ওপর একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। এই প্রদর্শনী চলবে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত।
উৎসবের প্রথম দিনে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা ‘সামান্য ক্ষতি’ অবলম্বেনে অমুলেন্দু দে নির্দেশিত ‘এক যে ছিল মহারানী’ এবং মামুনুর রশিদ রচিত ‘দ্বীপের নাম আন্ধার মানিক’ যাত্রাপালা দুটি মঞ্চস্থ হয়। আজ দ্বিতীয় দিনে মঞ্চস্থ হবে যাত্রাপালা ‘দুই বিঘা জমি’ ও ‘সোহরাব রোস্তম’।