বন্ড সুবিধার ৫১ কোটি টাকার পণ্য অবৈধভাবে বিক্রি করেছে অলিম্পিক এক্সেসরিজ

302

ঢাকা, ২৪ এপ্রিল, ২০১৯ (বাসস) : কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর এবং ঢাকা কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুর কুড়িবাড়ির বিশিয়ায় মেসার্স অলিম্পিক এক্সেসরিজ লিমিটেডের বিরুদ্ধে বন্ড সুবিধায় আনীত কাঁচামাল অবৈধভাবে স্থানীয় বাজারে বিক্রয়ের ঘটনা উদঘাটন করেছে। যার মূল্য শুল্ক ও করসহ ৫১ কোটি ৫৩ লাখ ৯৯ হাজার ৫২ টাকা ।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর সহকারী পরিচালক মো. আবু হাসানের নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল চলতি মাসে তিন দফা মেসার্স অলিম্পিক এক্সেসরিজ লিমিটেডের প্রধান কার্যালয় রাজধানীর বিজয়নগরের সায়হাম স্কাই ভিউ টাওয়ার ষষ্ঠ তলা আকস্মিক পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে তারা প্রতিষ্ঠানটি ওয়্যারহাউসের প্রবেশ করে কাঁচামালসমূহের যৌথ ইনভেন্টরি করেন।
কাঁচামাল গণনা করে বন্ড রেজিস্টারে গত ৬ এপ্রিলে প্রদর্শিত কাঁচামালের সর্বশেষ মজুদের সঙ্গে তুলনা করে বিভিন্ন কাঁচামাল কম পাওয়া যায়।কম প্রাপ্ত কাঁচামালের মধ্যে রয়েছে পলিস্টার টেক্সচার্ড ইয়ার্ন ১০৪ দশমিক ৭৫৮ মেট্রিক টন,পিভিসি শীট ২০ দশমিক ৪৯০ টন, বি ও পি পি ৩১ দশমিক ৭৪৪ টন,পি পি ৩৩৩ দশমিক ৯৯৫ টন, আর্ট কার্ড ৫২ দশমিক ৪৭৭ টন,প্রিন্টিং ইনক ৩ দশমিক ৭৬৩ টন, রিবন ৫ দশমিক ১৯০ টন,এল ডি পি ই ২৪২ দশমিক ৫৭৫ টন,অ্যাডহেসিভ টেপ ৩ দশমিক ৩২৮ টন,রাবার থ্রেড ৩ দশমিক ২৪২ টন, পলিস্টার ইয়ার্ন ১০৪ দশমিক ৭৫৮ পলিস্টাইরিন ১৮ টন,লাইনার পেপার ৬০ দশমিক শূন্য ৩১ টন,মিডিয়াম পেপার ১০ দশমিক শুন্য ৬১ টন,গাম টেপ ৭ দশমিক শূন্য ৭১ টন, ডুপ্লেক্স বোর্ড ৫০১ দশমিক ৫০২ টন,যার আমদানি মূল্য ১১ কোটি ২১ লাখ ৮৫ হাজার ৪৩১ টাকা।
এছাড়া প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয় হতে ২০১৭ থেকে ফেব্রুয়ারি ২০১৯ সময়ে ২৫ কোটি ৪১ লাখ ২৪ হাজার ৬২৬ টাকার কাঁচামাল অবৈধভাবে অপসারণের তথ্য পাওয়া যায়। প্রতিষ্ঠানটি সর্বমোট ৩৬ কোটি ৬৩ লাখ ১০ হাজার ৫১ টাকা মূল্যমানের আমদানিকৃত কাঁচামাল অবৈধভাবে অপসারণ করেছে। অবৈধভাবে অপসারিত কাঁচা মালের উপর শুল্ক ও করের পরিমাণ ১৪ কোটি ৯০ লাখ ৮০ হাজার ৯৯৫ টাকা।