বরিশাল পল্লী বিদ্যুৎ গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর সার্বিক জীবন যাত্রা বদলে দিচ্ছে

628

॥ শুভব্রত দত্ত ॥
বরিশাল, ২৩ এপ্রিল ২০১৯ (বাসস) : আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে “ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ” পৌছানোর ধারাবাহিকতায় নিরলস ভাবে কাজ করে গ্রামীণ জনগোষ্ঠ ীর সার্বিক জীবন যাত্রা বদলে দিচ্ছে বরিশাল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি।
সরোসমিনে দেখা গেছে, গ্রামীণ জনগোষ্ঠ ীর মাঝে তথ্য প্রযুক্তিসহ নানা ক্ষেত্রে এসেছে আমূল পরিবর্তন। মানুষ ঘরে বসেই টেলিভিশনে দেখতে পাচ্ছে দেশ ও বিদেশের নানা খবর। বিদ্যুতের ওপর নির্ভর করে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। স্বাবলম্বী হয়ে উঠছে বহু মানুষ। বিদ্যুৎ সুবিধার কারণে স্কুল, কলেজের পাশাপাশি গ্রামীণ জনপথে গড়ে উঠেছে বরফ মিল, স’মিল, ওয়ার্কসপসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
বরিশাল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ১-এর ব্যবস্থাপনা বিভাগ সূত্র বাসস’কে জানায়, সমিতি ১-এর অর্ন্তভূক্ত উপজেলা ৫ টি (উপজেলা সদর, মুলাদী, বাকেরগঞ্জ, হিজলা, মেহেন্দিগঞ্জ)। অর্ন্তভূক্ত এলাকাকে ৬ টি উপকেন্দ্রের মাধ্যমে মোট ৫১ টি ইউনিয়নের মধ্যে ৪৫ টি ইউনিয়নের শতভাগ বিদ্যুৎতায়িত করা হয়েছে। নির্মিত লাইনের পরিমাণ প্রায় ৪ হাজার ২’শ ২০ কিঃ মিঃ, বিদ্যুৎতায়িত লাইনের পরিমাণ ৪ হাজার ১’শ ৮৬ কিঃ মিঃ। সংযোগ প্রাপ্ত গ্রহক সংখ্যা প্রায় ১ লাখ ৮৮ হাজার ৯৩ জন, গ্রামীণ জনকে বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত করতে রাস্তায় বাতি বসানো হয়েছে ১’শ ৫৭ টি।
অপরদিকে, বরিশাল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ২-এর ব্যবস্থাপনা বিভাগ’র সংশ্লিষ্ট সূত্র বাসস’কে জানায়, সমিতি ২-এর অর্ন্তভূক্ত উপজেলা ৫টি (বাবুগঞ্জ, বানারীপাড়া, উজিরপুর, গৌরনদী, আগৈলঝাড়া)। যার মধ্যে অর্ন্তভূক্ত ইউনিয়ন রয়েছে ৩৫ টি ও পৌরসভা রয়েছে ৩ টি। অর্ন্তভূক্ত গ্রাম ৫’শ ৩৫ টি, ইতিমধ্যে শতভাগ বিদ্যুৎতায়িত করা হয়েছে ৫’শ ৩০ টি।
সদর উপজেলার চরমোনাই ইউনিয়নের গুচ্ছ গ্রাম এলাকার বাসিন্দা গৃহিনী নাজু বেগম বাসস’কে জানায়, বিদ্যুৎতের আলোয় আমাদের ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনার ভাল হচ্ছে। আগে সন্ধ্যার পর হারিকেনের আলোতে বাচ্চারা পড়াশোনা করতো। বেশি সময় পড়তে পারতোনা। এখন অনেক রাত পর্যন্ত বিদ্যুৎতের আলোতে লেখা পড়া করতে পারছে।
এ প্রসঙ্গে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ১-এর জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী মো: শাহ্জাহান তালুকদার বলেন, বর্তমান সরকার গ্রামকে শহরে পরিণত করার যে অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছে, সেজন্য গ্রামে-গ্রামে, ঘরে-ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। চলতি বছরের মধ্যে প্রতিটি গ্রাম শতভাগ বিদ্যুৎতের আওতায় আনা হবে। কোন বাড়ীই বিদ্যুৎতের বাইরে থাকবে না।
এব্যপারে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ২-এর জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী মোঃ একরামুল হক বলেন, শতভাগ বিদ্যুৎতায়নের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছি আমরা। বর্তমান সরকার বাস্তব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বলেই এটি সম্ভব হয়েছে। এর সুফল গ্রামবাসী পাচ্ছেন। অন্ধকার গ্রামগুলো আলোকিত হয়ে উঠছে। বিদ্যুৎতায়নের ফলে শুধু মানুষের জীবন যাত্রার মান উন্নয়নই হয়নি, দূর হয়েছে গ্রাম আর শহরের ব্যবধান।
বাসস/সংবাদদাতা/১১৪৫/নূসী