নিরাপদ পুষ্টির স্বার্থে ক্ষতিকর রাসায়নিক ও ভেজালমুক্ত খাবারে জোর দেয়া হচ্ছে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

225

ঢাকা, ২১ এপ্রিল, ২০১৯ (বাসস) : নিরাপদ পুষ্টির স্বার্থে ক্ষতিকর রাসায়নিকমুক্ত ও ভেজালমুক্ত খাবারে জোর দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, পুষ্টির উন্নয়নে সরকার আরও বেশি কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে। পুষ্টিকর নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে বহুমুখি উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ক্ষতিকর রাসায়নিকমুক্ত ও ভেজালমুক্ত খাবারেও জোর দেওয়া হচ্ছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আজ রোববার মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন। জাতীয় পুষ্টি পরিষদের উদ্যোগে পুষ্টি সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘খাদ্যের কথা ভাবলে পুষ্টির কথাও ভাবুন’।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আগামী ২৩ থেকে ২৯ এপ্রিল জাতীয় ভাবে দেশে পুষ্টিসেবা সপ্তাহ পালন করা হবে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে। এসময় পুষ্টি মেলা, বৈজ্ঞানিক সেমিনার, মাতৃপুষ্টি, শিশু পুষ্টি, বয়স্কদের পুষ্টি নিয়ে ঢাকাসহ সারাদেশে প্রচারনামুলক কমূসচি পালন করা হবে।
জাহিদ মালেক বলেন, শিগগিরই দেশের সব হাসপাতাল, বাস স্টেশন, লঞ্চ স্টেশন, রেল স্টেশন, অফিন-আদালতে ব্রেস্ট ফিডিং কর্নাও আরও কার্যকর করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব জিএম সালেহ উদ্দিন, অতিরিক্ত সচিব হাবিবুর রহমান খান, জাতীয় পুষ্টি পরিষদের মহাপরিচালক ডা. মো. শাহনেওয়াজসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এবারে ২২টি মন্ত্রণালয়কে এই পুষ্টি সপ্তাহের কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই সপ্তাহ উপলক্ষে জেলা-উপজেলা পর্যায়েও নেওয়া হয়েছে বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি। আর পুষ্টি সপ্তাহের উদ্বোধন হবে ২৩ এপ্রিল সকাল ৮টায় র‌্যালির মাধ্যমে।
তিনি বলেন, দেশ গড়তে হলে একটি সুস্থ জাতি দরকার। এখন দেশে দরিদ্র ও অতি দরিদ্রের মধ্যে পুষ্টিহীনতায় ভুগছে শতকার ৮ থেকে ১০ ভাগ মানুষ। আর দারিদ্র্যসীমার নিচে শতকরা ১৫ থেকে ভাগ মানুষ পুষ্টিহীনতায় ভুগছে। অর্থাৎ দারিদ্র্যের হার কমলে পুষ্টিহীনতার হারও কমবে। সেই অনুযায়ী দেশে দারিদ্র্যের হার কমার সঙ্গে সঙ্গে পুষ্টিহীনতার হার কমে এসেছে।