জয়পুরহাটে বেগুন, পটল, ঢেঁড়সসহ বিভিন্ন সবজির বাম্পার ফলন

1074

জয়পুরহাট, ১০ জুন, ২০১৮(বাসস): জেলায় খরিপ-১ (২০১৭-১৮) মৌসুমে পটলসহ বিভিন্ন সবজির এবার বাম্পার ফলন হয়েছে। বাজারে এসব সবজির দাম বেশি পাওয়ায় কৃষকরা খুশি বলে জানান।
স্থানিয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র বাসস’কে জানায়, খরিপ-১ মৌসুমে জেলায় ৭শ হেক্টর জমির লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৮শ ৫০ হেক্টর জমিতে এবার পটলের চাষ হয়েছে। এতে পটল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২০ হাজার ৬শ ৫০ মে.টন । ইতোমধ্যে বাজারে পটলের আমদানী শুরু হয়েছে ব্যাপক হারে।
কৃষি বিভাগ জানায়, জেলায় চাষ হওয়া অন্যান্য সবজি গুলোর মধ্যে রয়েছে বেগুন ৭৬৫ হেক্টর, করলা ৫৫৬ হে:, বরবটি ৭৫ হে:, ঝিংগা ৮০ হে:, কাকরোল ৪০ হে:, চিচিংগা ৫৫ হে:, চাল কুমড়া ১৭৫ হে:, মিষ্টি কুমড়া ৩৮০ হে:, ডাটা ২৪০ হে:, পুঁইশাক ২২৫ হে:, লাল শাক ২৮০ হে:, কলমী শাক ৮৫ হে:, শষা ২৬৫ হে:, ঢেঁরস ১৬০ হে:, পেঁপে ৪৫ হে: এবং লতিরাজ কচু ১ হাজার ৭শ ৭৫ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে। সব মিলে এবার সবজির উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ৫০ হাজার ৫৪০ মে.টন। যা জেলার সবজি চাহিদা মিটিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে। জেলায় এবার অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত না থাকায় শাক-সবজির ফলন ভাল হয়েছে বলে জানান কৃষক ও কৃষি কর্মকর্তারা।
জেলার পাঁচবিবি উপজেলার খাসবাট্টা গ্রামের কৃষক জাহাঙ্গীর আলম এবার দেড় বিঘা জমিতে পটল চাষ করেছেন। বাজার মূল্য ভাল পাওয়ায় তিনি খুশি বলে জানান। একই গ্রামের কৃষক নুর আলম বলেন, ১ বিঘা জমিতে বেগুন চাষ করে ভাল ফলন পেয়েছি।
জেলার পাইকারি সবজি হাট হিসাবে খ্যাত নতুনহাট ঘুরে দেখা যায় পটল বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি, বেগুন ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি, করলা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, বরবটি ২০ টাকা, কাকরোল ৪০ টাকা, শষা ২৫ থেকে ৩০ টাকা, লতিরাজ কচু ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, ঢেঁরস ২০ থেকে ২৫ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ২০ টাকা কেজি এবং চাল কুমড়া প্রকার ভেদে ১৫ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত পিচ বিক্রি করতে দেখা গেছে। পাইকারি সবজি ক্রেতা তাইজুল ইসলাম জানান, প্রতি হাটে ২/৩ গাড়ি সবজি কিনে ঢাকার বিভিন্ন বাজার যাত্রাবাড়ি, শ্যামবাজার, কারওয়ান বাজারে পাঠিয়ে থাকেন। জুয়েল হোসেন জানান, ২/১ গাড়ি সবজি কিনে ঢাকা ও ময়মনসিংহের গফরগাঁও পাঠিয়ে থাকেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সুধেন্দ্র চন্দ্র রায় বলেন, জয়পুরহাটের সবজির মান খুব ভাল। সে করণে জয়পুরহাটের সবজির বাহিরে চাহিদা বেশি। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পাইকাররা এসে এখান থেকে সবজি নিয়ে যায়।