নুসরাত হত্যাকান্ডে মানি লন্ডারিংয়ের সংশ্লিষ্টতা অনুসন্ধানে সিআইডি

219

ঢাকা, ১৯ এপ্রিল, ২০১৯ (বাসস) : ফেনীর সোনাগাজীতে মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় মানি লন্ডারিংয়ের সংশ্লিষ্টতা অনুসন্ধানে মাঠে নেমেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) অর্গানাইজড ক্রাইম ইউনিট।
সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার শারমিন জাহান আজ বাসসকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, এই হত্যাকান্ডের ঘটনায় কোনো আর্থিক লেনদেন ছিল কিনা কিংবা কে বা কারা টাকা দিয়েছে, এসব জানতে কাজ শুরু করেছেন সিআইডির কর্মকর্তারা।
নুসরাত হত্যাকান্ডে অর্থ লেনদেন হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। সিআইডি এই অর্থের উৎস কিংবা অর্থের যোগানদাতা থাকলে তার খোঁজ করবে বলে জানান তিনি।
নুসরাত সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার আলিম পরীক্ষার্থী ছিলেন। ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগে নুসরাতের মা বাদী হয়ে গত ২৭ মার্চ সোনাগাজী থানায় মামলা করেন। এর পর অধ্যক্ষকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। মামলা তুলে নিতে বিভিন্নভাবে নুসরাতের পরিবারকে হুমকি দেয়া হচ্ছিলো। ৬ এপ্রিল সকালে আলিম আরবি প্রথম পত্রের পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে যান নুসরাত। এসময় কৌশলে তাকে ভবনের ছাদে ডেকে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। সেখানে তার গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারী ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১০ এপ্রিল রাতে নুসরাত মারা যান।