বাসস দেশ-৩০ : দরিদ্রদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে শয্যা কোটা নিশ্চিত করতে হবে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

197

বাসস দেশ-৩০
স্বাস্থ্যমন্ত্রী-উদ্বোধন
দরিদ্রদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে শয্যা কোটা নিশ্চিত করতে হবে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ১৮ এপ্রিল, ২০১৯ (বাসস) : দরিদ্র ও দুঃস্থদের বিনামূল্যে চিকিৎসা দিতে নির্দিষ্ট সংখ্যক শয্যা কোটা নিশ্চিত করতে বেসরকারি হাসপাতালগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, দেশের স্বাস্থ্যখাতের অগ্রগতিতে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি ব্যবস্থারও অবদান রয়েছে। দেশের বিপুল সংখ্যক দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য সার্বজনীন আধুনিক চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হলে বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে বিনামূল্যে চিকিৎসা কোটা নিশ্চিত করতে হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আজ বৃহষ্পতিবার রাজধানীর টিএন্ডটি মহিলা কলেজ মাঠে বাংলাদেশ বেসরকারি মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য বিনামূল্যে বহুমূখী বিশেষায়িত স্বাস্থ্যক্যাম্প উদ্বোধনকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী একথা বলেন। জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা সপ্তাহ-২০১৯ উপলক্ষে এই ক্যাম্প-এর আয়োজন করা হয়।
অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এম এ মুবিন খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান, ত্রাণ ও দূর্যোগ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে আরো উর্ধে তুলে ধরতে হলে বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে শিক্ষার গুণগত মান বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের কিছু বেসরকারি মেডিকেল কলেজ আছে যেখানে চিকিৎসা শিক্ষার যথাযথ পরিবেশ নাই। ভালো অবকাঠামো নাই, হাসপাতালও থাকে না কিছু কলেজের। ফলে শিক্ষার্থীরা হাসপাতাল থেকে সরাসরি ব্যবহারিক শিক্ষাও নিতে পারে না। সরকার এ ধরনের মানহীন বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোকে নীতিমালা অনুযায়ী পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছে।
তিনি বলেন, মানুষ অসুস্থ হলে আশ্রয়স্থল হিসাবে চিকিৎসকের শরানাপন্ন হয়। সেই চিকিৎসক যদি মানসম্মত শিক্ষা না পায় তবে যথাযথ চিকিৎসা দিতে ব্যর্থ হবে। সরকার তাই চিকিৎসা শিক্ষার মান নিয়ে কোনো আপোষ করবে না।
জাহিদ মালেক বলেন, জাতীয়ভাবে স্বাস্থ্যসেবা সপ্তাহ পালন করা হচ্ছে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সাথে জনগণের সম্পৃক্ততা বাড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে। দেশের মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়ানোও এই সপ্তাহ পালনের উদ্দেশ্য। জনগণ যদি সঠিক পুষ্টিমানে সমৃদ্ধ খাবার খায় তবেই রোগমুক্ত জীবন নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। গত ১৬ এপ্রিল শুরু হয়ে জাতীয় স্বাস্থ্য সেবা সপ্তাহ আগামী ২০ এপ্রিল শেষ হবে।
বাসস/সবি/বিকেডি/১৯১১/কেএমকে