বাসস প্রধানমন্ত্রী-১ (দ্বিতীয় ও শেষ কিস্তি) : দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রস্তুতিমূলক পদক্ষেপ পর্যালোচনা অব্যাহত রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

186

বাসস প্রধানমন্ত্রী-১ (দ্বিতীয় ও শেষ কিস্তি)
এনডিএমসি-প্রধানমন্ত্রী
দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রস্তুতিমূলক পদক্ষেপ পর্যালোচনা অব্যাহত রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

তিনি স্মরণ করেন যে, ১৯৯১ সালে দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলীয় অঞ্চলে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের পর ওই সময় বিএনপি সরকার কোন পদক্ষেপ নেয়নি।
শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী বঙ্গবন্ধু সরকার উপকূলীয় অঞ্চলকে জলোচ্ছ্বাস ও ঘূর্ণিঝড় থেকে রক্ষায় ‘মুজিব কিল্লা’ নামে ১ হাজার সাইক্লোন সেন্টার নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছিল।
বঙ্গবন্ধুর পদাঙ্ক অনুসরণ করে বর্তমান সরকার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে। এর সূফল লক্ষ্য করা যায় ১৯৯৮ সালে দীর্ঘস্থায়ী ভয়াবহ বন্যায় যখন ঢাকা মহানগরীরও বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছিল। ওই সময় এ পূর্বাভাসও দেয়া হয়েছিল যে বন্যায় ২ কোটি মানুষ মারা যাবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার সম্ভাব্য খাদ্য ঘাটতি মোকাবেলা ও জনগণের দুর্যোগ সহনীয় পর্যায়ে রাখতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে।
তিনি বলেন, সরকার ভূমিকম্প পরবর্তী উদ্ধার তৎপরতা ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার জন্য স্বেচ্ছাসেবী তৈরি করছে।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ও বন্যাকবলিত মানুষসহ সকলের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বন্যায় পলিসহ অন্যান্য উপাদানও আসে। যা চাষের জমিকে আরো উর্বর করে।
তিনি বিদ্যুৎ, গ্যাস সিলিন্ডার ও দাহ্যপদার্থ ব্যবহারে জনগণকে সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়ে বলেন, আধুনিকায়ন আমাদের অনেক আরাম দিয়েছে। তবে এতে ঝুঁকিও কম নয়। এজন্য আধুনিকায়নের ঝুঁকি এড়াতে আমাদের সতর্ক হতে হবে।
শেখ হাসিনা জনগণকে সবসময় সতর্ক থাকতে এবং বাসা-বাড়ি ও কর্মস্থল যেকোন দুর্যোগ মোকাবেলার উপযোগী করে গড়ে তোলার পরামর্শ দেন।
প্রধানমন্ত্রী ১৯৯১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ঘূর্ণিঝড়ের কথা উল্লেখ করে বলেন, ওই সময়কার সরকার দুর্যোগের ব্যাপারে সতর্ক ছিল না বলেই হাজার হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।
তিনি তাঁর সরকারের আমলে ১৯৯৭ সালের ঘূর্ণিঝড় সফলভাবে মোকাবেলার কথা উল্লেখ করে বলেন, ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার কারণে ওই সময় তিনি তাঁর স্পেন সফর বাতিল করেন।
প্রধানমন্ত্রী আগামী দিনে দুর্যোগ মোকাবেলায় সময়োপযোগী প্রস্তুতি নিতে জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা পরিষদকে নির্দেশ দেন।
বাসস/এএইচজে/অনু-এমএসআই/আহো/১৭৩৮/আরজি