মোটরসাইকেল উৎপাদনকে উৎসাহিত করা হবে : এনবিআর চেয়ারম্যান

286

ঢাকা, ১৮ এপ্রিল, ২০১৯ (বাসস) : আসন্ন বাজেটে দেশে মোটররসাইকেল উৎপাদনকে উৎসাহিত করা হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া। একইসঙ্গে তিনি মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশন ফি কমানোর প্রস্তাব বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় রাজস্ব ভবন সভাকক্ষে প্রাক-বাজেট আলোচনায় সভাপতির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।
আলোচনায় মটরসাইকেল ম্যানুফেচার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ পণ্য পরিবহন এজেন্সী মালিক সমিতি, বাংলাদেশ ইনল্যান্ড কন্টেইনার ডিপো এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল (যাপ) সংস্থা, বাংলাদেশ মটর পার্টস ও টায়ার টিউব ব্যবসায়ী সমিতির প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করে।
মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, গত ১০-১২ বছর আগে থেকে মোটরসাইকেলন সেক্টরের যাত্রা শুরু হয়েছে। তবে ইতোমধ্যে এ খাতে আমরা যুগান্তকারী পরিবর্তন এনেছি। এখন রানার মোটরসাইকেল তৈরি করেছে। হিরো, হোন্ডা এবং বাজাজ নিজেরা তৈরি শুরু করছে। আমাদের মোটরসাইকেল রফতানির সুযোগ রয়েছে। মোটরসাইকেল রফতানি করতে পারলে রফতানির তালিকায় নতুন পণ্য যুক্ত হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
মোটর সাইকেলের পাশাপাশি গাড়ি তৈরিকে উৎসাহিত করা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মোটরসাইকেল যেভাবে প্রণোদনা পাচ্ছে। সেভাবে সহায়তা করতে গাড়ি তৈরির ক্ষেত্রে একটা নীতিমালা করছি। যারা গাড়ি তৈরিতে এগিয়ে আসবে, তারা এই সুযোগ গ্রহণ করতে পারবেন।
মোশাররফ হোসেন বলেন, দেশের উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে মোবাইল, মটর সাইকেল, ফ্রিজ দেশেই তৈরি হচ্ছে। ঠিক সেইভাবে গাড়িও তৈরি হবে। আমার ধারণা গাড়ি তৈরি শিগগিরই শুরু হবে।
এভিয়েশন খাতের প্রস্তাবনার প্রেক্ষিতে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, এভিয়েশন সেক্টর ফুয়েল (জ্বালানি) নিয়ে বেশি সমস্যায় আছে। আমরা তাদের কোনো না কোনো জায়গায় যদি সহায়তা না করি তাহলে এটা টিকবে না। তাদের অনেকে ভ্যাট পরিশোধ করতে পারছে না।
জাহাজ মালিক সমিতির দাবির প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, ‘জাহাজ নির্মাণে আমরা এগিয়ে গেছি। এখাতেও অনেক প্রণোদনা দিয়েছি। কিন্তু, কথা হচ্ছে ঠিকানাবিহীন কিছু প্রতিষ্ঠান জাহাজ তৈরি করে বিক্রি করছে। আমরা তাতে রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছি। এদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।’
বাংলাদেশ ইনল্যান্ড কন্টেইনার ডিপো এসোসিয়েশন প্রাইভেট কন্টেইনার পোর্ট বা প্রাইভেট ইনল্যান্ড ডিপোর জন্য কোম্পানী করহার বিদ্যমান ৩৫ শতাংশের পরিবর্তে ২৫ শতাংশ এবং উৎসে আয়কর কর্তনের হার ২ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করে।