বিও অ্যাকাউন্ট খুলতে ইটিআইএন বাধ্যতামূলক নয় : এনবিআর চেয়ারম্যান

447

ঢাকা, ১৬ এপ্রিল, ২০১৯ (বাসস) : পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের বেনিফিশিয়ারি ওনার (বিও) অ্যাকাউন্ট খুলতে ইটিআইএন (আয়কর সনদ) বাধ্যতামূলক নয় বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূইয়া।
মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় রাজস্ব ভবন সভাকক্ষে বাংলাদেশ স্টিল ম্যানুফ্যাকচারার্স এসোসিয়েশন (বিএসএমএ), রিয়েল এস্টেট এন্ড হাউজিং এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব), বাংলাদেশ ল্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ স্টেইনলেস স্টিল বিল্ডিং ম্যানুফ্যাকচারার্স এসোসিয়েশন এবং স্টিল বিল্ডিং ম্যানুফ্যাকচারার্স এসোসিয়েশন প্রতিনিধিদের সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বর্তমানে পুঁজিবাজারে সূচক কমার অনেকগুলো কারণের মধ্যে ইটিআইএন ইস্যুও নাকি একটি বলে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির চেয়ারম্যান জানিয়েছেন উল্লেখ করে মোশাররফ হোসেন বলেন,এখন যে পদ্ধতিতে বিও অ্যাকাউন্ট খোলা যায় ভবিষ্যতেও একই পদ্ধতিতে বিও অ্যাকাউন্ট খোলা যাবে। বিও অ্যাকাউন্ট করার ক্ষেত্রে ইটিআইএন বাধ্যতামূলক হবে না।
উল্লেখ্য,বর্তমানে ইটিআইএন ছাড়াই বিও অ্যাকাউন্ট খোলার সুযোগ রয়েছে। তবে আগামী অর্থবছরে বিও অ্যাকাউন্ট খুলতে ইটিআইএন বাধ্যতামূলক করা হবে,এই মর্মে সম্প্রতি একটি পত্রিকায় খবর পরিবেশনের কারণে কিছুটা বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে বলে বিএসইসি মনে করছে। সেই প্রেক্ষিতে আজ এনবিআর চেয়ারম্যান স্পষ্ট করে জানান,আগামী অর্থবছর বিও অ্যাকাউন্ট খুলতে ইটিআইএন বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে না।
মোশাররফ হোসেন বলেন, নতুন ভ্যাট আইন করার ক্ষেত্রে আমরা বিশেষ সুবিধাগুলো একেবারেই ফেলে দিতে পারবো না। কাজেই কিছু কিছু জায়গায় আমরা বিশেষ সুবিধা রাখবো।
তিনি বলেন, ‘কাস্টমস্ ডিউটি কিভাবে কমানো যেতে পারে সে বিষয়টি আমরা দেখবো। এনবিআর শুধু রাজস্ব আহরণেই কাজ করে না, দেশের শিল্পায়ন এবং ব্যবসা বাণিজ্য কিভাবে বৃদ্ধি পাবে সে লক্ষ্যেও আমরা কাজ করছি।’
বরাবরের মতো এবারের বাজেটেও শিল্পায়নকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে উল্লেখ করে মোশাররফ হোসেন বলেন, ক্ষুদ্র এবং মাঝারী শিল্প গড়ে তোলার পাশাপাশি কিভাবে আরো বেশি রাজস্ব পাওয়া যায় সেদিকে সবার দৃষ্টি রাখতে হবে। তিনি বলেন, আমরা সবার বাজেট প্রস্তাব গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছি। আলাপ আলোচনার মাধ্যমে আগামী বাজেটে সেগুলো অন্তর্ভূক্ত করা হবে।
সভায় রিহ্যাবের পক্ষ থেকে ফ্ল্যাট ও প্লট রেজিস্ট্রেশন কর ও ফি ৭ শতাংশে নির্ধারণ,আবাসনখাতে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সিঙ্গেল ডিজিট সুদে দীর্ঘমেয়াদী রিফাইন্যান্সিং চালু এবং ২০ হাজার কোটি টাকার তহবিল গঠন, বৈধভাবে উপার্জিত অপ্রদর্শিত অর্থ আবাসনে বিনিয়োগের সুযোগ দেয়ার জন্য আয়কর অধ্যাদেশের যুগপোযোগী সংশোধনসহ একাধিক প্রস্তাব করা হয়।
বাংলাদেশ স্টিল ম্যানুফ্যাকচারার্স এসোসিয়েশন বিদ্যমান টার্নওভার ট্যাক্স শুন্য ৬ শতাংশের পরিবর্তে শুন্য ৩০ শতাংশ নির্ধারণ করা এবং সর্বোচ্চ করপোরেট ট্যাক্স ৩৫ শতাংশের পরিবর্তে ২৫ শতাংশ নির্ধারনের প্রস্তাব করে।