বাসস দেশ-২৫ : জলবায়ু পরিবর্তন রোধে সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান অর্থমন্ত্রীর

126

বাসস দেশ-২৫
অর্থমন্ত্রী-এফএফডি
জলবায়ু পরিবর্তন রোধে সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান অর্থমন্ত্রীর
ঢাকা, ১৬ এপ্রিল, ২০১৯ (বাসস) : অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনে বাংলাদেশের কোনো ভূমিকা না থাকলেও জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব বাংলাদেশের উন্নয়ন- অগ্রযাত্রাকে ব্যাপকভাবে বাধাগ্রস্থ করছে।
তিনি পৃথিবী এবং জীবন বাঁচাতে এর সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি জোর আহ্বান জানান।
অর্থমন্ত্রী নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে ইকোসকের উন্নয়নের জন্য অর্থায়ন (এফএফডি) ফোরামে কান্ট্রি স্টেটমেন্ট প্রদানকালে এ আহ্বান জানান।
আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, এলডিসি থেকে উত্তরণকারী দেশগুলোর টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে প্রাথমিক পর্যায়ে নীতিগত বিষয়গুলো পুনঃবিবেচনা করা উচিত। তিনি এজন্য সহযোগিতার পদক্ষেপসমূহ অবারিত রাখতেও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে টেকসই উত্তরণ অর্জনের কথা উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এলডিসি থেকে উত্তরণ আমাদের জাতীয় আকাক্সক্ষার একটি। আমরা রূপকল্প ২০২১ ও রূপকল্প ২০৪১ গ্রহণ করেছি। এতে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যসমূহ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।’
আজ মঙ্গলবার ঢাকায় প্রাপ্ত এক তথ্য বিবরণীতে এ কথা জানানো হয়।
এতে বলা হয়,আ হ ম মুস্তফা কামাল কান্ট্রি স্টেটমেন্টে উল্লেখ করেন,মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যূত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী বাংলাদেশের উন্নয়ন পদক্ষেপে নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করছে। তিনি রোহিঙ্গাদের টেকসই প্রত্যাবাসন এবং এ সমস্যার স্থায়ী সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ফলপ্রসূ ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে ২০১৪ সালে প্রবৃদ্ধি ছিল ৬ দশমিক ৫ ভাগ যা বেড়ে ২০১৮ সালে ৮ দশমিক ১৩ ভাগে উন্নীত হয়েছে। মাথাপিছু গড় জাতীয় আয় ২০০৬ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত শতকরা ২৫০ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি বলেন,‘সমন্বিত ও সমতাভিত্তিক উন্নয়ননীতি গ্রহণ করে আমরা দারিদ্র্যের হার ২০০৬ সালের শতকরা ৪০ ভাগ থেকে ২০১৮ সালে শতকরা ২১ দশমিক ৪ ভাগে নামিয়ে এনেছি। অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ষোলো কোটি মানুষের অভিন্ন লক্ষ্য হল ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলায় পরিণত করা, যে স্বপ্ন দেখেছিলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
জাতিসংঘ মহাসচিব, সাধারণ পরিষদের সভাপতি, সদস্য দেশসমূহ থেকে আগত মন্ত্রীসহ উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ, উন্নয়ন সংস্থা সমূহের প্রতিনিধিবর্গ, বিশ্বব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক, জাতিসংঘ ও এর সহযোগী সংস্থাসমূহের কর্মকতাবৃন্দ, অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিগণ, সংশ্লিষ্ট অংশীজন, সিভিল সোসাইটি ও ব্যবসায়ী সেক্টরের প্রতিনিধিবর্গসহ স্থানীয় প্রতিনিধিগণ এ সভায় অংশগ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য,ইকোসকের এফএফডি ফোরামের ফলোআপ টেকসই উন্নয়ন লক্ষসমূহ বাস্তবায়নে একটি বৈশ্বিক আন্তঃসরকারি প্রক্রিয়া। ইকোসকের উন্নয়নের জন্য ৪র্থ অর্থায়ন ফোরাম ১৫ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে আগামী ১৮ এপ্রিল শেষ হবে।
বাসস/সবি/জেডআরএম/১৮২০/-এমএসআই