বরিশালের কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে মানুষের আস্থা বাড়ছে

322

॥ শুভব্রত দত্ত ॥
বরিশাল, ১৩ এপ্রিল, ২০১৯ (বাসস) : জেলার কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে স্বাস্থ্যসেবার মান বৃদ্ধি পাওয়ায় গ্রামীণ জনপথের সাধারণ মানুষের মাঝে আস্থা বাড়ছে।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ’র সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, শহরের হাসপাতালগুলোর মতো কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে সাধারণ মানুষ এখন প্রাথমিক চিকিৎসা সুবিধা পাচ্ছেন। শহর কেন্দ্রিক হাসপাতালগুলোর উপর চাপ কমাতে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর সেবার মান আরও বৃদ্ধি করা হচ্ছে। গ্রামীণ জনপথে সাধারণ মানুষের মাঝে স্বাস্থ্যসেবা পৌছে দিতে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে কমিউনিটি ক্লিনিক ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাগেছে, কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর সেবার মান বৃদ্ধি ও আধুনিকায়ণে সদর উপজেলার ুৃ ৩৬ টি কমিউনিটি ক্লিনিকে ল্যাপটপ দেয়া হয়েছে ৩৪ টি, বাকেরগঞ্জ উপজেলার ৪৯ টি কমিউনিটি ক্লিনিকে দেয়া হয়েছে ৪২ টি, বাবুগঞ্জ উপজেলার ২৩ টি কমিউনিটি ক্লিনিকে দেয়া হয়েছে ২১ টি, বানারীপাড়া উপজেলার া ২০ টি কমিউনিটি ক্লিনিকে দেয়া হয়েছে ১৯ টি, উজিরপুর উপজেলার ৩৪ টি কমিউনিটি ক্লিনিকে দেয়া হয়েছে ৩৪ টি, গৌরনদী উপজেলার ২৫ টি কমিউনিটি ক্লিনিকে দেয়া হয়েছে ২১ টি, আগৈলঝাড়া উপজেলার ২১ টি কমিউনিটি ক্লিনিকে দেয়া হয়েছে ১৯ টি, হিজলা উপজেলার ১৯ টি কমিউনিটি ক্লিনিকে দেয়া হয়েছে ২০ টি, মুলাদী উপজেলার ২৪ টি কমিউনিটি ক্লিনিকে দেয়া হয়েছে ১৯ টি, মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার ৩০ টি কমিউনিটি ক্লিনিকে দেয়া হয়েছে ৩০ টি। সর্বোমোট জেলার ১০ টি উপজেলায় ২’শ ৮১ টি কমিউনিটি ক্লিনিকে ২’শ ৬০ টি ল্যাপটপ দেয়া হয়েছে। ক্লিনিকগুলোতে ইমপ্যাক্ট ফাউন্ডেশন এবং ওয়াটার এইড’র অর্থায়নে স্যানিটেশন, বিশুদ্ধ খাবার পানিসহ পরিবেশ উন্নয়নে প্রকল্প কাজ শুরু করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র আরো জানায়, বর্তমান সরকার গ্রামীণ মানুষের জনপথের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে এবং কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোকে সংস্কারের মাধ্যমে সক্রিয় করছেন। যে কারণে সাধারণ মানুষ এখন প্রাথমিক যে কোন চিকিৎসায় কমিউনিটি ক্লিনিক মুখি হচ্ছে।
আগৈলঝাড়া উপজেলার বাটারা সিসি কমিউনিটি ক্লিনিক কেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে আসা সুলতানা ও নুপুর আক্তার জানান, বন্ধ প্রায় কমিউনিটি ক্লিনিকটি আবার চালু হওয়ায় তারা খুশী। এখন বাড়ির কাছেই চিকিৎসা পাচ্ছেন।
উজিরপুর উপজেলার শিকারপুর সিসি কেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে আসা শিবানী রানী বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর পরিবেশ অনেক সুন্দর হয়েছে। কিন্তু ভা লো ডাক্তার নেই। সব ধরনের ওষুধ পাওয়া যায় না। ভালো ডাক্তার ও পর্যাপ্ত ওষুধ সুবিধা পেলে ভালো হতো। তবে প্রাথমিক চিকিৎসা পেয়ে খুশি।
এবিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন ডা: মো: মনোয়ার হোসেন বলেন, কমিউনিটি হেলথ কেয়ারগুলোতে স্বাস্থ্যসেবা নিতে নারী ও শিশু রোগীর সংখ্যা বেশি। এসব রোগীরা মুলত গর্ভবর্তী মায়ের স্বাস্থ্যসেবা, শিশু স্বাস্থ্য ও সাধারণ স্বাস্থ্যসেবা নিতে আসেন।
এ ব্যাপারে বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা: মো: মাহবুবুর রহমান বলেন, স্বাস্থ্য সম্মত সেনিটেশন ও বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থাসহ পরিবেশ সুন্দর করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সবগুলো ক্লিনিকের পরিবেশ সুন্দর করা হবে। কিছু সমস্যা আছে যা পর্যায়ক্রমে সমাধান করা হবে। গ্রামীণ জনপথের দরিদ্র ও সাধারন মানুষের দোরগোড়ায় মানসসম্মত স্বাস্থ্যসেবা পৌছে দেয়ার লক্ষ্যে কমিউনিটি হেলথ কেয়ারগুলো কাজ করছে।