দেশীয় শিল্প রক্ষায় সব ধরনের সহায়তা দেয়া হবে : শিল্পমন্ত্রী

373

ঢাকা, ১১ এপ্রিল, ২০১৯ (বাসস) : শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, দেশীয় শিল্পের স্বার্থ রক্ষায় সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তা দেয়া হবে।
শিল্প মন্ত্রী আজ গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হাই-টেক কারখানা পরিদর্শনকালে এ কথা বলেন।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এ সময় শিল্প মন্ত্রী বলেন, ওয়ালটনের মতো শিল্প উদ্যোক্তারা এগিয়ে আসলে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশের কাতারে খুব সহজেই পৌঁছতে পারবে বাংলাদেশ। তিনি আরো বলেন, ওয়ালটনের মতো আরও প্রতিষ্ঠান থাকলে বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের কর্তৃত্ব বাড়বে।
এ সময় শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন। দেশীয় প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদন শিল্পের অভাবনীয় অগ্রগতি পর্যবেক্ষণের উদ্দেশ্যে তারা ওয়ালটন কারখানা পরিদর্শন করেন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন,‘ ওয়ালটনে ব্যাপক সংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। কর্মীদের জন্য সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। আগে ইউরোপ, জাপানের মতো দেশ থেকে যেসব পণ্য বাংলাদেশে আসতো ওয়ালটন এখন দেশেই সেসব পণ্য তৈরি করছে। ওয়ালটনের হাই-টেক কারখানা পরিদর্শনে এসে এদেশের শিল্পায়নের ধারা নিয়ে আমার আত্মবিশ্বাস বেড়ে গেছে।’
শিল্প প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশীয় শিল্পে উৎপাদিত পণ্যের স্থানীয় বাজার ও রপ্তানি বৃদ্ধিতে সহায়তা করা হবে। দেশীয় শিল্পের স্বার্থ রক্ষায় প্রয়োজনে আমদানি পণ্যের উপর ট্যাক্স বাড়ানো হবে। তাহলে স্থানীয় উদ্যোক্তারা উৎসাহিত হবে।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ওয়ালটনের কারখানা পরিবেশবান্ধব। এখানে সব ধরনের ইলেকট্রনিক্স পণ্য ও সেগুলোর যন্ত্রাংশ তৈরি হচ্ছে। দেশের অর্থ ব্যয় করে এসব পণ্য আমদানি করার প্রয়োজনীয়তা কমে এসেছে। বরং এসকল পণ্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে। দেশে তৈরি উচ্চমানের পণ্য দিয়ে বাংলাদেশের জন্য সুনাম বয়ে আনছে ওয়ালটন।
দেশীয় হাই-টেক শিল্প বিকাশ ও সুরক্ষায় শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে বলে তিনি জানান। বিশ্বমানের প্রযুক্তিপণ্য দিয়ে ওয়ালটন বিশ্ববাজার দখল করতে পারবে বলে তিনি আশাপ্রকাশ করেন।
ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের ভাইস-চেয়ারম্যান এস এম শামসুল আলম, পরিচালক এস এম মাহবুবুল আলম এবং তাহমিনা আফরোজ তান্না, নির্বাহী পরিচালক এস এম জাহিদ হাসান, হুমায়ূন কবির, উদয় হাকিমসহ অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে শিল্পমন্ত্রী ও শিল্পপ্রতিমন্ত্রী ওয়ালটনের রেফ্রিজারেটর, ফাউন্ড্রি, কম্প্রেসরসহ বিভিন্ন পণ্যের উৎপাদন প্রক্রিয়া সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করেন।
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে প্রায় ৭ একর জায়গাজুড়ে ওয়ালটনের হাই-টেক কারখানা স্থাপন করা হয়েছে । এখানে ফ্রিজ, টিভি, এসি, ল্যাপটপ, কম্পিউটার, মোবাইল ফোন, হোম ও ইলেকট্রিক্যাল অ্যাপ্লায়েন্স, লিফটসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স পণ্য উৎপাদিত হচ্ছে। স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে এসব পণ্য এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে।