বাজিস-১০ : জয়পুরহাটে শিশু নুরুন্নবী হত্যা মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন কারা

121

বাজিস-১০
জয়পুরহাট-হত্যা মামলা-যাবজ্জীবন
জয়পুরহাটে শিশু নুরুন্নবী হত্যা মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড
জয়পুরহাট, ১১ এপ্রিল, ২০১৯ (বাসস): জেলার চকবরকত দ্বীনে মার্কাজ এতিম খানার আবাসকি ছাত্র নুরুন্নবী হত্যা মামলার রায়ে দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত।
জয়পুরহাটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক (জেলা জজ) ড. এ বি এম মাহমুদুল হক আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে এ রায় ঘোষনা করেন।
সাজাপ্রাপ্ত দুইব্যক্তি হলেন- জয়পুরহাট সদর উপজেলার আরজী জগদীশপুর গ্রামের ফেরদৌস আলমের ছেলে নূর আলম হোসেন সনি (১৮) ও পার্শবর্তী নওগাঁ জেলার বদলগাছী উপজেলার খোজাগাড়ী গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে মাহবুব আলম বুলবুল (১৮)।
আদালত ও মামলার সূত্রে জানা যায়, জয়পুরহাট সদর উপজেলার চকবরকত গ্রামের তায়েজ উদ্দিনের ছেলে নুরুন্নবী (১১) দ্বীনে মার্কাজ এতিম খানায় থেকে পাশের একটি আলিয়া মাদরাসাতে ৫ম শ্রেণীর ছাত্র ছিল। ২০০৭ সালের ২ নভেম্বর রাতে মাদরাসা থেকে সে নিখোঁজ হয়।
পরদিন সকালে মাদরাসার পিছনে জনৈক হোসেন আলীর পারিবারিক কবরস্থানের পাশ থেকে নুরুন্নবীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় নুরুন্নবীর হাত-পা ও মুখ গামছা দিয়ে বাধা ছিল এবং পেটে ও গলায় ছুরিকাঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় নিহতের পিতা তায়েজউদ্দিন মন্ডল বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামী করে একটি মামলা দায়ের করে। পুলিশ অনুসন্ধান চালিয়ে এতিমখানার আবাসিক শিক্ষার্থী (একই মাদরাসার ছাত্র) নুর আলম হোসেন সনি (১৮) ও মাহবুব আলম বুলবুল (১৮)কে আটক করে। তারা দুজনেই ওই বছরের ৯ নভেম্বর আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের পরিদর্শক আব্দুল ওহাব ৩০ নভেম্বর ২০০৭ তারিখে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালত ২১ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহনসহ দীর্ঘ শুনানী শেষে আজ বৃহষ্পতিবার এ রায় প্রদান করেন।
সরকার পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের স্পেশাল পিপি এ্যাড. ফিরোজা চৌধুরী এবং আসামী পক্ষে ছিলেন এ্যাড. মোস্তাফিজুর রহমান।
বাসস/সংবাদদাতা/১৬৫০/এমকে