ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবছর ৭ মার্চ দিবস উদযাপন করা হবে : উপাচার্য

773

ঢাকা, ১২ মার্চ ২০১৮ (বাসস) : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তরুণ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরায় প্রতি বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘৭ মার্চ দিবস’ উদযাপন করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
আজ সোমবার ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে ‘৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ : গুরুত্ব ও তাৎপর্য’ শীর্ষক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এই ঘোষণা দেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ ইউনেস্কোর মেমোরি অব দ্যা ওয়ার্ল্ড রেজিস্টারে অন্তর্ভুক্ত হওয়া উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের গুরুত্ব অনুধাবনের জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, এই ভাষণ ছাত্র-ছাত্রীদের পঠন-পাঠনে অন্তর্ভুক্ত থাকা উচিৎ।
তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রদত্ত ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ শুধু ১৯৭১ সালে বাঙালি জাতিকেই অনুপ্রাণিত করেছিল তা নয়, বরং এই ভাষণ যুগে যুগে বিশ্বের সকল অবহেলিত ও বঞ্চিত জাতি-গোষ্ঠীকে অনুপ্রেরণা যোগাবে।’
বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ বিশ্বে সবচেয়ে ও বেশি বার প্রতিধ্বনিত হয়েছে উল্লেখ করে উপাচার্য বলেন, অথচ এক সময় বাংলাদেশে এই ভাষণ প্রচার নিষিদ্ধ ছিল।
তিনি বলেন, ‘এক অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে বঙ্গবন্ধু এই অসাধারণ ভাষণটি দিয়েছিলেন। এটি ছিল একটি অলিখিত ভাষণ। এই ভাষণ দেয়ার পেছনে বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের অনুপ্রেরণা ছিল।’
সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. কামালউদ্দীন, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশনের সভাপতি এ কে আজাদ, সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. খন্দকার বজলুল হক, অফিসার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি সৈয়দ আলী আকবর সহ বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারী সমিতি, কারিগরী কর্মচারী সমিতি ও ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। পরিচালনয়া ছিলেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. এনামউজ্জামান।