বাসস দেশ-৩৩ : গবাদি পশু-পাখির টিকা উৎপাদনে স্বনির্ভরতা অর্জনে অত্যাধুনিক ল্যাব স্থাপন করা হবে : প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী

281

বাসস দেশ-৩৩
প্রতিমন্ত্রী-ল্যাব-স্থাপন
গবাদি পশু-পাখির টিকা উৎপাদনে স্বনির্ভরতা অর্জনে অত্যাধুনিক ল্যাব স্থাপন করা হবে : প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ৭ এপ্রিল, ২০১৯ (বাসস) : গবাদি পশু-পাখির টিকা উৎপাদনে স্বনির্ভরতা অর্জনে শিগগির অত্যাধুনিক ল্যাব স্থাপন করার কথা জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু।
আজ রোববার প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের আওতাধীন মহাখালীস্থ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটে প্রতিষ্ঠানটির তিনটি টিকা-উৎপাদনকারী ল্যাব পরিদর্শন শেষে এক সভায় বক্তৃতাকালে প্রতিমন্ত্রী একথা জানান।
গবেষণা প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক মো. আইনুল হকের সভাপতিত্বে সভায় মন্ত্রণালয়ের সচিব রইছউল আলম মন্ডল, অতিরিক্ত সচিব (প্রাণিসম্পদ) কাজী ওয়াসি উদ্দিন, মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-প্রধান লিয়াকত আলী, প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক হীরেশ রঞ্জন ভৌমিক বক্তৃতা করেন।
প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী এসময় বলেন, ঢাকা ও কুমিল্লর ল্যাবসমূহে আমাদের চাহিদার মাত্র ১০ শতাংশ টিকা উৎপাদিত হয় এবং বাকি ৯০ শতাংশ আমদানি করতে হয়, যা প্রত্যাশিত নয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও চান এদেশে শতভাগ টিকা উৎপাদনকারী অত্যাধুনিক ল্যাব স্থাপিত হোক এবং তিনি তার নির্দেশনাও দিয়েছেন।
আশরাফ আলী খান বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয়ে টিকা আমদানির বদলে স্বনির্ভরতা অর্জনে আরো দক্ষতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান। অর্থাভাবে যেন টিকা উৎপাদন ব্যাহত না হয়, সে ব্যাপারেও তিনি সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অনুষ্ঠানে জানান, প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটে গবাদিপশু অর্থাৎ গরু ও ছাগল-ভেড়া এবং হাঁস-মুরগির বিভিন্ন রোগের প্রতিষেধক হিসেবে তিনটি আধুনিক ল্যাবে নিয়মিতভাবে মোট ১৭ প্রকার টিকার উৎপাদন করা হয়। এর মধ্যে গরুর এফএমডি, ছাগল-ভেড়ার পিপিআর এবং হাঁসমুরগির রাণীক্ষেত রোগের টিকা উল্লেখযোগ্য।
মো. আইনুল হক আরও জানান, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে মোট ১৯ কোটি ৩৭ লাখ, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ১৯ কোটি ১৫ লাখ, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ২৩ কোটি ৪০ লাখ, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ২৪ কোটি ৭৩ লাখ এবং ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ২৫ কোটি ৬৩ লাখ ডোজ টিকা উৎপাদিত হয়েছিল। তবে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের মার্চ মাস পর্যন্ত প্রায় ১৯ কোটি ডোজ টিকা উৎপাদিত হয়েছে যদিও ২৮ কোটি ডোজ টিকা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত রয়েছে। এ লক্ষ্যমাত্রা যথাযথভাবে অর্জিত হবে বলেও গবেষণা প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, মোট ৮.১৯ একর জমির ওপর ১৯৪৭ সালে প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদিত ‘রিন্ডারপেস্ট’ টিকা দ্বারা বাংলাদেশ থেকে রিন্ডারপেস্ট রোগ নির্মূল হওয়ায় ২০১০ সালে বিশ্ব প্রাণিস্বাস্থ্য সংস্থা বাংলাদেশকে রিন্ডারপেস্ট রোগ নির্মূলের স্বীকৃতি সনদ প্রদান করে।
বাসস/সবি/এমএন/১৯২৫/এইচএন