গবেষণা কার্যক্রম আরও সহজ করতে বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান চর্চা করুন : মহিবুল হাসান

394

যশোর, ৬ এপ্রিল ২০১৯ (বাসস) : বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানের চর্চা এবং বিজ্ঞানীদের গবেষণা কার্যক্রম আরও সহজ করতে বিজ্ঞানের বই-পুস্তক ও সাময়িকী বাংলা ভাষায় অনুবাদের আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী।
আজ শনিবার দুপুরে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) বঙ্গবন্ধু একাডেমিক ভবনের গ্যালারিতে বাংলাদেশ সোসাইটি অব মাইক্রোবায়োলজিস্টের (বিএসএম) ৩২তম বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহবান জানান। এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাখেন যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ। ‘ট্রেন্ডস ইন মাইক্রোবায়োলজি ফর সাসটেইনবল অ্যাগ্রোইকোলজিক্যাল ডেভেলপমেন্ট’ শীর্ষক এই সম্মেলন বিএসএম এবং যবিপ্রবির অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের যৌথ উদ্যোগে আয়োজন করা হয়।
শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন,উচ্চতর জ্ঞান বিজ্ঞানের শাখার গবেষণার বই-পুস্তকগুলো ইংরেজি ভাষায়। ভাষার এ প্রতিবন্ধকতার জন্য আমরা সম্পূর্ণভাবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উপকারিতা আত্মস্থ করতে পারছি না। জ্ঞান-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বই এবং জার্নালগুলো যদি বাংলা ভাষায় অনুবাদ করা হয়, তাহলে বিজ্ঞানের ধারণাগুলো সবাই সহজে বুঝতে পারবে। এতে আমাদের গবেষকদের সংখ্যাও বাড়বে।
সভাপতির বক্তব্যে যবিপ্রবি’র উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: আনোয়ার হোসেন বলেন, অনেক সময় বলা হয়, শিল্পের জন্য দক্ষ গ্রাজুয়েট পাওয়া যায় না। এ কথা বিবেচনায় রেখে দক্ষ গ্রাজুয়েট তৈরির জন্য আমাদের পাঠ্যক্রম তৈরিতে শিল্প উদ্যোগতাদের অন্তর্ভুক্ত করছি।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ সোসাইটি অব মাইক্রোবায়োলজিস্টের সভাপতি অধ্যাপক ড. এম এ মালেক, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. সাবিতা রিজওয়ানা রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো: ইকবাল কবীর জাহিদ প্রমুখ।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক ফারহানা ইয়াসমিন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ একাডেমি অব সায়েন্সের ফেলো মেজর জেনারেল (অব.) অধ্যাপক ড. এ এস এম মতিউর রহমান ও ‘শান্তিস্বরূপ ভাতনগর’ পুরস্কারপ্রাপ্ত আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ভারতের হায়দারাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, চেয়ারম্যান, যশোরের বিশিষ্টজনসহ দেশি-বিদেশি প্রায় দুই শতাধিক আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষক, গবেষক, বিজ্ঞানী এবং পিএইচডি-এমফিল ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
এ সম্মেলনে অণুজীব বিজ্ঞানের গবেষণা ছাড়াও সরকাররের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, জলবায়ু পরিবর্তন, জৈব তথ্য-প্রযুক্তির উপর গবেষণার বিষয়ে ১৬১টি গবেষণাপত্র উপস্থাপন করা হয়।