বিশ্ববাণিজ্যের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অর্থবহ সুবিধা প্রয়োজন : বাণিজ্যমন্ত্রী

271

ঢাকা, ৬ এপ্রিল, ২০১৯ (বাসস) : বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এসডিজি’র সব লক্ষ্য সফলভাবে অর্জনের জন্য বিশ্ববাণিজ্যের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অর্থবহ সুবিধার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘বিশ্ব বাণিজ্যে বাংলাদেশ সফলভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। ২০২৪ সালে এলডিসি থেকে বেরিয়ে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হওয়ার পাশাপাশি এসডিজির লক্ষ্যসমুহ সফলভাবে বাস্তবায়নে বিশ্ববাণিজ্যের ক্ষেত্রে অর্থবহ-সুবিধা বাংলাদেশের প্রয়োজন। এসডিজি’র লক্ষ্য বাস্তবায়নে বিশ্ববাণিজ্য সুবিধা খুবই সহায়ক হবে।’
টিপু মুন্শি সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় শুক্রবার ‘বাংলাদেশের ট্রেড পলিসি রিভিউ কমিটির শেষ সভায় বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন। ডব্লিউটিও ট্রেডপলিসি রিভিউ বডির চেয়াম্যান অ্যাম্বাসেডর টিহাংকির এ সভায় সভাপতিত্ব করেন। এ্যাম্বাসেডর ডি রোবার্ত সভায় উপস্থিত ছিলেন।
আজ শনিবার ঢাকায়-প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানানো হয়েছে।
তিনি বলেন, ডব্লিউটিও-এর পরামর্শকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে বাংলাদেশের ট্রেড পলিসি গ্রহণ ও বাণিজ্য ক্ষেত্রে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হয়েছে। বাংলাদেশ সব সময়ই ডব্লিউটিও’র দোহা ঘোষণার বাস্তবায়ন চেয়ে আসছে।
মন্ত্রী বলেন,বাংলাদেশ চায় অগ্রাধিকার বাণিজ্য সুবিধাসহ সকল সিদ্ধান্তের দ্রুত বাস্তবায়ন। বাংলাদেশ এখন আর প্রাকৃতিক দুর্যোগ আক্রান্ত ও দরিদ্র দেশের রোল মডেল নয়। এটি এখন সম্ভাবনাময় একটি দেশ। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ তা প্রমানও করেছে।
এতে বলা হয়, বাণিজ্যমন্ত্রী এ সভায় উল্লেখ করেন, দারিদ্র ও ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশ গড়তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের বর্তমান সরকার আন্তরিকতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার সিদ্ধান্ত ও পরামর্শ অনুযায়ি বাংলাদেশ বাণিজ্য ক্ষেত্রে টেকসই উন্নয়নের জন্য ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ববাণিজ্যে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে সুনাম অর্জন করেছে।
বাংলাদেশ ডব্লিউটিও এবং ক্রেতাগোষ্টির আন্তরিক সহযোগিতা চায় এ কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন,অনেক প্রতিবন্ধকতা দূর করে বাংলাদেশ এখন সফল ভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। বাণিজ্য সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যে সড়ক, নৌ, বিমান যোগাযোগ আধুনিক করেছে। আমদানি-রপ্তানি সুবিধা বৃদ্ধির জন্য সমুদ্রবন্দরগুলো সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়ন করেছে, কাজ করার সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। বেশ কয়েকটি নতুন সমুদ্রবন্দর গড়ে তোলা হয়েছে। সড়ক পথ সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়ন করা হয়েছে।
টিপু মুনশি বলেন, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতামূল বিশ্ব বাণিজ্যে ভালো করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়ে যাচ্ছে। ট্রেড পলিসি সময়োপযোগি করা হয়েছে এবং বাণিজ্যের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে এ বিষয়ে দক্ষ করে গড়ে তোলা হচ্ছে।
তিনি বলেন,সব-মিলিয়ে বাংলাদেশ এখন বিনিয়োগের জন্য খুবই উপযোগি স্থান। বিশ্বের অনেক দেশ ইতোমধ্যে বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য এগিয়ে এসেছে। বিনিয়োগের পরিমান দিনদিন বাড়ছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সি’র নেতৃত্বে বাণিজ্য সচিব মো. মফিজুল ইসলাম, জনেভাস্থ বাংলাদেশ মিশনের স্থায়ী প্রতিনিধি শামীম এম আহসান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক মুনির চৌধুরীসহ ১৬ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল ‘টেড্র-পলিসি রিভিউ’ সমাপনী সভায় অংশগ্রহণ করে।