আলীকদমে পাহাড়ি উপকরণেই নির্মিত হচ্ছে ‘শৈলকুঠির রিসোর্ট’

393

বান্দরবান, ৮ জুন, ২০১৮ (বাসস) : বান্দরবানের আলীকদম উপজেলা সদরের কাছে মাতামুহুরী নদীর পাশ ঘেঁষে সেগুনকুঞ্জ বিথীকায় আধুনিক শৈলীতে নির্মিত হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন শৈলকুঠির রিসোর্ট। রিসোর্টের সৌন্দর্য বাড়ানোর লক্ষ্যে বাঁশ-বেত এবং কঁচি কাঠের অংশ দিয়েই তৈরি করা হচ্ছে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কুঠির। যা আগন্তুক এবং ভ্রমণপিপাসুদের সহজেই আর্কষণ করবে। বেসরকারি খাতে স্থানীয় উদ্যোগীরা এই প্রথমবারে জেলার আলীকদমে কেবল পাহাড়ের উপকরণ দিয়েই নির্মাণ করছে ছোট ছোট কুঠির।
আলীকদম প্রেসক্লাব সভাপতি মমতাজ উদ্দিন আহমদ এবং বান্দরবান জেলা সদরের সাংবাদিক আল-ফয়সাল বিকাশ জানান,তাদের সহায়তায় ওই এলাকার একদল শিক্ষিক যুবক ভিন্নধর্মী এবং দৃষ্টিনন্দন বাঁশ-বেত ও কঁচি কাঠের উপকরণ দিয়েই নিমার্ণ করছেন ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কুঠির ওই শৈলকুঠির রিসোর্ট। তারা বলেন, জেলায় অসংখ্য কটেজ ও ঘর নির্মিত হয়েছে ইট-পাথর এবং লোহা ব্যবহার করেই। আলীকদমের নোয়াপাড়ায় ভিন্নধর্মী কেবলমাত্র বাঁশ-বেত এবং কঁচি কাঠের উপকরণ ব্যবহার করেই নির্মাণ করা হচ্ছে ছোট ছোট কুঠিরসহ দৃশ্যমান স্থাপনাসমুহ।
উদ্যোক্তারা আশা প্রকাশ করেন,বান্দরবানের মধ্যাঞ্চল লামা ও আলীকদমে ভ্রমণে আসা পর্যকটরা এই পাহাড়ি উপকরণ সম্মৃদ্ধ কুঠিরগুলোতে আনন্দদায়ক অবকাশ কাটানোর কাংখিত সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। মাতামুহুরী নদীর তীরে সেগুনবাগানের ভেতরে মনোরম পরিবেশ ও নিরাপত্তা বেষ্টনির মাঝেই এসব কুঠির নির্মিত হচ্ছে শৈলকুঠির রিসোর্টে। তারা জানান, এলাকার বহুবার পরিবার তাদের হাতের বুনুনকৃত রকমারী পণ্য নিয়মিত বিকিকিনি করারও সৃযোগ সৃষ্টি হবে এই রিসোর্টকে ঘিরে। ফলে স্থানীয়রা আর্থিকভাবে লাভবান হবেন বলেও আশা করা যাচ্ছে।
আলীকদম উপজেলায় ভ্রমণে আসা ঢাকার পর্যটক সেলিম আহমেদ ও কামাল উদ্দিন জানান, এই উপজেলা সদরে ভাল অবাসিক হোটেল নেই। সরকারি বিশ্রামাগার ব্যবহার করার তেমন সুযোগও নেই। প্রাইভেট সেক্টরে নির্মাণাধীন শৈলকুঠির রিসোর্ট পর্যটকদের জন্যে অবকাশ যাপনে ভালই কাজে আসবে। পবিত্র ঈদুল-ফিতরের আগেই ওই রিসোর্টের নির্মাণ কাজ শেষ করা হবে এবং চালু করার সিদ্ধান্ত রয়েছে বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা।