বরিশালে হাইব্রিড ভুট্টা চাষে সফল চাষী মোসলেম

899

বরিশাল, ৮ জুন, ২০১৮ (বাসস) : জেলার সদর উপজেলায় হাইব্রিড ভুট্টা চাষ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন মোসলেম হাওলাদারসহ একাধিক ভুট্টা চাষী।
উপজেলার সায়েস্তাবাদ ইউনিয়নের জগৎদল গ্রামের বাসিন্দা সফল ভূট্টা চাষি মো. মোসলেম হাওলাদার জানান, বিগত ৫ বছর থেকে তিনি মুলত ভুট্টা চাষ করছেন। চলতি বছর ৮ বিঘা জমিতে ভুট্টার চাষ করা হয়েছে। বিঘা প্রতি খরচ হয়েছে ১৭-১৮ হাজার টাকা, কিন্তু বিক্রি করা যাবে প্রায় ৬০ হাজার টাকা। ভুট্টার বাম্পার ফলন হওয়ায় প্রায় তিনগুণ লাভ গুণবেন বলে তিনি আমা রাখছেন। মো. মোসলেম আরো জানান, ভুট্টার জমিতে ৫-৬ বার পানি দিতে হয়েছে। তার জন্য বড় পাম্প মেশিন বসানো হয়েছে। পোকা দমনে ও আক্রমণ ঠেকাতে সময়োপযুগী কীটনাশক ও সার ব্যবহার করা হয়েছে।
এদিকে, জগৎদল গ্রামের বাসিন্দা মোসলেম হাওলাদারের হাইব্রিড ভুট্টা চাষের সফলতায় উৎসাহিত হয়ে চলতি বছর একই ইউনিয়নের চুরামন গ্রামের বাসিন্দা বুলবুল হাওলাদার ও মো. মোসলেম তারা ৩ বিঘা করে জমিতে ভুট্টার চাষ করেছেন। বুলবুল ও মোসলেম দু’জনেই সফল ভুট্টা চাষী হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন নিজ এলাকায়।
বরিশাল আঞ্চলিক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ভুট্টা চাষে তেমন একটা রোগ-বালাই নেই। তা ছাড়া ভুট্টা চাষে কৃষকদের আগ্রহ সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রতি বছরের ন্যায় চলতি বছরও জনপ্রতি ভুট্টা চাষীদের মাঝে বিনামূল্যে ২ কেজি বীজ, ২০ কেজি ডিএপি সার ও ৩০ কেজি এমওপি সার দেয়া হয়েছে। এছাড়া কৃষি কর্মকর্তাদের নিয়মিত তদারকি এবং কৃষকদের আগ্রহে প্রতি বছরই এ অঞ্চলে ভুট্টার আবাদ বাড়ছে। অনেকে ভুটা চাষে মোসলেস হাওলাদের মতো সফলতা পাচ্ছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাবিনা ইয়াসমিন জানান, চলতি বছর অনুকূল আবহাওয়া থাকায় ও কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে চাষীদের মাঝে সময় মত কৃষি উপকরণ সরবরাহ এবং সঠিক দিক-নির্দেশনা দেয়ায় জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ভুট্টার বাম্পার ফলন হয়েছে। ভুট্টা চাষে খরচ কম অথচ উৎপাদন বেশি যে কারণে ভুট্টা চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। ভুট্টার ফলন ভালো, বছরে দুই মৌসুমে চাষ করা যায় এ কৃষি পণ্যটি। প্রয়োজন হয় স্বল্প সেচের এসব কারণেই ভুট্টা চাষে আগ্রহ বেড়েছে চাষীদের মাঝে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ হরিদাস শিকারী জানান, শুধু ভুট্টা চাষ নয় কৃষক কৃষি ক্ষেত্রে সরকার কর্তৃক ঘোষিত যে কোন ধরনের সাহায্য সহযোগিতা চাইলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে তা দেয়া হবে। বর্তমানে কৃষকদের পারিবারিক ভাবে স্বর্নিভর করতে ও দেশের কৃষিজাত পণ্যের সার্বিক উন্নয়নে সকল প্রকার সহায়তা করতে সরকার-এর পক্ষ থেকে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।