বিশ্ববাণিজ্যের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ডব্লিউটিও’র সহযোগিতা প্রয়োজন : টিপু মুনশি

427

ঢাকা, ৪ এপ্রিল, ২০১৯ (বাসস) : বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্শি বলেছেন, বিশ্ব বাণিজ্যের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় উন্নয়নশীল বাংলাদেশ’র জন্য ডব্লিউটিও’র সহযোগিতা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ইতোমধ্যে এলডিসি থেকে বেরিয়ে উন্নয়নশীল দেশে প্রবেশের প্রথম ধাপ সফলভাবে অতিক্রম করেছে। ২০২৪ সালে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে পরিনত হবে। তখন বিশ্ব বাণিজ্যের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় উন্নয়নশীল বাংলাদেশ’র জন্য ডব্লিউটিও’র সহযোগিতা প্রয়োজন হবে। বিশেষ করে ট্রিপস চুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধির সুবিধা বাংলাদেশের প্রয়োজন।’
টিপু মুনশি বুধবার (৩ এপ্রিল) সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার সদর দপ্তরে বাংলাদেশের ৫ম ট্রেডপলিসি রিভিউ’র ১ম সভায় বাংলাদেশের বাণিজ্য, শিল্প, বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সরকারের গৃহিত পদক্ষেপ ও সংস্কারসমূহ তুলে ধরতে গিয়ে এ কথা বলেন।
ডব্লিউটিও’র ট্রেডপলিসি রিভিউ বডির চেয়াম্যান অ্যাম্বাসেডর টিহাংকির এ সভায় সভাপতিত্ব করেন।
বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার পরামর্শ মোতাবেক বাংলাদেশ বিশ্ব বাণিজ্যে সক্ষমতা অর্জন করেছে উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন,রপ্তানি বাণিজ্যে বাংলাদেশ সুনামের সাথে এগিয়ে চলছে। গত অর্থ বছরে বাংলাদেশের রপ্তানি ছিল প্রায় ৩৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২১ সালে রপ্তারি লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছে ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তিনি বলেন, বাংলাদেশের রপ্তানি প্রত্যাশার চেয়েও ভালো। বাংলাদেশ বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। বরাবরই বাংলাদেশ বিশ^বাণিজ্য সংস্থায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলছে।
আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানা যায়।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ১শ’ স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলার কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। দেশি-বিদেশী বিনিয়োগকারীগণও বিনিয়োগে এগিয়ে আসতে শুরু করেছে।
বাংলাদেশ সরকার বিনিয়োগে বিশেষ সুযোগ-সুবিধা প্রদান করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগামী ১৫ বছরে এখানে এক কোটির (১০ মিলিয়ন) বেশি মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। অতিরিক্ত রপ্তানি আয় হবে ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
উল্লেখ্য, এ সভায় বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার প্রায় সকল সদস্যের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন। বাণিজ্যমন্ত্রী সভায় প্রতিবেদন এবং সদস্য দেশসমূহের লিখিত প্রশ্নের আলোকে বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
মন্ত্রীর বক্তব্যের পর কানাডার এ্যাম্বাসেডর বাওয়ের, ডব্লিউটিও সেক্রেটারিয়েট আলোচনায় অংশ নেন। এর পর মুক্ত আলোচনা পর্বে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অষ্ট্রেলিয়া ও জাপানসহ ৩০ টি দেশ অংশগ্রহণ করে।
সভায় বাংলাদেশের আমদানি শুল্ক কমানোসহ বাণিজ্য ও বিনিয়োগের নীতিমালা সমূহ উদারীকরণের জন্য ও একাধিক দেশের প্রতিনিধি অনুরোধ জানান।
আগামীকাল শুক্রবার (৫ এপ্রিল) বাংলাদেশের ট্রেড-পলিসি রিভিউ’র দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে ১৮টি দেশ ১৪০টি লিখিত প্রশ্ন দাখিল করেছে। বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল এ প্রশ্নগুলোর জবাব দেবে।
বাণিজ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাণিজ্য সচিব মো: মফিজুল ইসলাম, জেনেভাস্থ বালাদেশ মিশনের স্থায়ী প্রতিনিধি শামীম এম আহসানসহ ১৬ সদস্যের প্রতিনিধিদল এই ট্রেডপলিসি রিভিউয়ে অংশগ্রহণ করছেন।