চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরে কর্মসংস্থান হবে ৭ লাখ লোকের

603

চট্টগ্রাম, ৩ এপ্রিল, ২০১৯ (বাসস) : দেশের সর্ববৃহৎ ইকোনোমিক জোন চট্টগ্রামের মিরসরাই বঙ্গবন্ধু শিল্প নগরে ৭ লাখ লোকের কর্মসংস্থান হবে। সেখানে বিনিয়োগের পরিমাণ ১ হাজার ২০৪ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বুধবার (৩ এপ্রিল) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ফেনীর সোনাগাজী এবং চট্টগ্রামের সীতাকু- ও মিরসরাই চরাঞ্চলের প্রায় ৩০ হাজার একর এলাকা জুড়ে অবস্থিত দেশের সর্ববৃহৎ ইকোনমিক জোনের উদ্বোধন করেন। মিরসরায়ে প্রকল্প এলাকায় অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক এই তথ্য জানান।
বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান বলেন, বঙ্গবন্ধু শিল্প নগর উদ্বোধনের মাধ্যমে চট্টগ্রামের ইতিহাসে নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগের নতুন দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৭১ কিলোমিটার দূরে ৩০ হাজার একর জুড়ে গড়ে তোলা হচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগর। যেখানে নির্মিত হচ্ছে নিজস্ব পাওয়ার প্ল্যান্ট। ৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে এই প্ল্যান্টে। আড়াই হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ শিল্পনগরে সরবরাহ করে বাকিটা যুক্ত হবে জাতীয় গ্রিডে। মিরসরাইয়ে বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরে নির্মিত হচ্ছে ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ শেখ হাসিনা স্মরণী ও ১০ মিটার উঁচু প্রতিরক্ষা বাঁধ।
জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেনের সঞ্চালনায় এসময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাবেক মন্ত্রী ও মিরসরাই সংসদীয় আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, ফেনী-৩ সংসদীয় আসনের সংসদ সদস্য মাসউদ উদ্দীন চৌধুরী, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান, জেলা পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনা, বসুন্ধরা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সাফওয়ান সোবহান, চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি মাহবুবুল আলম, বিজিএমই-এর সাবেক প্রথম সহ-সভাপতি নাসির উদ্দিন চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরে’ স্থানীয়দের চাকরি, নতুন জমি অধিগ্রহণের সময় গ্রাম বাদ দেওয়া ও ডিসি অফিসে না নিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে এসে ক্ষতিপূরণর টাকা দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে।
তার বক্তব্যের সুত্র ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মোশাররফ ভাই আপনি মিরসরাইয়ে ইকোনমিক জোন করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। যারা জমি দিয়েছেন তাদের পরিবারের সদস্যরা যেন কাজ পায়। শিল্পের জন্য নতুন করে ফসলি জমি নেওয়া যাবে না। যা নেওয়া হয়েছে যথেষ্ট। আগে সেখানে শিল্প কারখানায় ভরে যাক।