বাসস দেশ-২৬ : গাড়ি আমদানিতে শুল্ক বৈষম্য নিরসন হবে

276

বাসস দেশ-২৬
প্রাক-বাজেট-মোশাররফ
গাড়ি আমদানিতে শুল্ক বৈষম্য নিরসন হবে
ঢাকা, ৩১ মার্চ, ২০১৯ (বাসস) : নতুন ও পুরনো গাড়ি আমদানির ক্ষেত্রে যে শুল্ক বৈষম্য রয়েছে আগামী অর্থবছরের বাজেটে সেটি দূর করার বিষয় বিবেচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূইয়া।
রোববার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় রাজস্ব ভবন সম্মেলনকক্ষে প্রাক-বাজেট আলোচনায় বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিক্যালস ইম্পোর্টার্স এন্ড ডিলারস এসোসিয়েশনের (বারভিডা) প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে তিনি এ কথা বলেন।
এসময় বারভিডার সভাপতি হাবিবুল্লাহ ডনসহ সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবন্দ এবং এনবিআরের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটকে সামনে রেখে আজ থেকে এনবিআরের মাসব্যাপী প্রাক-বাজেট আলোচনা শুরু হয়েছে। প্রথম দিনে বারভিডা ছাড়াও বাংলাদেশ সিরামিক ম্যানুফ্যাকচারস এন্ড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশন আলোচনায় অংশ নেয়।
এনবিআর চেয়ারম্যান পুরনো গাড়ি আমদানিকারকদের উদ্দেশ্য বলেন, ‘আপনারা নতুন-পুরনো গাড়ি আমদানির একটি তুলনামূলক চিত্রে দেখিয়েছেন যে নতুন গাড়ির ক্ষেত্রে কত কাস্টমস ডিউটি দিতে হয় আর পুরনো গাড়ির ক্ষেত্রে কত দিতে হয়। এক্ষেত্রে যে বৈষম্য তৈরি হয়েছে আগামী বাজেটে তা দূর করার চেষ্টা করবো।’
তিনি বলেন, নতুন গাড়ি আমদানিকারকরা যেন গাড়ির মূল্য কম দেখাতে না পারে, সে জন্য ওয়েবসাইট দেখে গাড়ির আন্তর্জাতিক দর ঠিক করতে হবে।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, গত বছর বাজেটে হাইব্রিড কার আমদানিকে উৎসাহিত করা হয়েছে। তাতে এসব গাড়ির ব্যবহার বেড়েছে।এতে দেশে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয় হচ্ছে। অন্যান্য সুবিধাও বাড়ছে।
তিনি বলেন, দেশে আর গাড়ি সংযোজনকে নয় বরং গাড়ি উৎপাদনকে উৎসাহিত করা হবে। সেজন্য গাড়ি উৎপাদনের নীতিমালা হবে যেন দেশীয় গাড়ি অর্থাৎ মোটরগাড়ি তৈরিতে উদ্যোক্তারা এগিয়ে আসতে পারেন।
বারভিডার সভাপতি হাবিবুল্লাহ ডন বাজেট প্রস্তাবনা তুলে ধরে বলেন,একই সিসি ও অভিন্ন কাঠামো সম্পন্ন গাড়িতে পুরনো গাড়ির তুলনায় নতুন গাড়িতে যে পরিমাণ শুল্ক কর কম দেয়া হয় তা স্পষ্টতই বৈষম্য। এই বৈষম্য দূর করতে পুরনো গাড়িতে বছর ভিত্তিক অবচয় প্রথার পরিবর্তে বিজ্ঞানসম্মত ও রাজস্ব সহায়ক সর্বসাকল্য প্রথা চালু অথবা পুরনো গাড়িতে অবচয় সুবিধা বিদ্যমান ৩৫ শতাংশের পরিবর্তে আগামী ৫ বছরের জন্য ৪৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করেন।
এছাড়া তিনি হাইব্রিড প্রযুক্তির গাড়িতে সিসি স্ল্যাব ও সম্পূরক শুল্কের হার পুনর্বিন্যাসসহ শতভাগ পরিবেশবান্ধব ইলেকট্রিক গাড়ির সম্পূরক শুল্ক হার সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের প্রস্তাব দেন। একইসাথে ১২ থেকে ১৫ সিটের মাইক্রোবাসের সম্পূরক শুল্কহার হ্রাস করার প্রস্তাবও দেন তিনি।
বাংলাদেশ সিরামিক ম্যানুফ্যাকচারস এন্ড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশেনর সঙ্গে আলোচনায় এনবিআর চেয়ারম্যান জানান, দেশীয় শিল্প সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় সুবিধা দেয়ার বিষয় বিবেচনা করা হবে।
বাসস/এএসজি/আরআই/১৮৪৫/এমএসআই