নাটোর, ৩০ মার্চ, ২০১৯ (বাসস) : ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, বাংলাদেশের সকল গ্রাম হবে ডিজিটাল। এই লক্ষে গ্রামীণ জনপদে তথ্য প্রযুক্তির সকল সুবিধা পৌঁছে দিতে কাজ করছে সরকার।
আজ শনিবার সিংড়া থানার সার্ধশতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে সিংড়া কোর্ট মাঠে শোভাযাত্রা পরবর্তী আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা তাঁর নির্বাচনী ইশতেহারে যে আমার গ্রাম আমার শহরের কথা বলেছিলেন তা আজ ডিজিটাল গ্রামে রুপান্তর ঘটছে।
নাটোরের পুলিশ সুপার সাইফুল্লাহ আল মামুনের সভাপতিত্বে সভায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব এম জিয়াউল আলম, পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের ডি আই জি এম. খুরশীদ হোসেন, নাটোরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শাহরিয়াজ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এরআগে প্রধান অতিথি বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন এবং বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেন।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, আগামীতে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সম্পদ হবে মানব সম্পদ। সেই সম্পদ গড়ে তোলার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সরকার। আমাদের অতীতের সময়ের মধ্যে গত ১০ বছরে আমরা ডিজিটাল যুগে এসে পৌঁছেছি। এই দেশের অমিত সম্ভাবনাময় যুব শক্তি তথ্য প্রযুক্তি খাতকে ব্যবহার করে দেশকে উন্নত বাংলাদেশের পর্যায়ে নিয়ে যাবে।
তিনি বলেন, ১৯৭৩ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদ্যোগে বাংলাদেশ আইটিএল এর সদস্য পদ লাভ করে এবং বেতবুনিয়াতে স্থাপিত হয় ভূ উপগ্রহ কেন্দ্র। বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথে আজকের বাংলাদেশ ডিজিটাল যুগে প্রবেশ করেছে।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, দেশের ১৬ কোটি মানুষকে দুই লাখ পুলিশের সদস্য নিরাপত্তা দিয়ে যাচ্ছেন। প্রযুক্তি নির্ভর আধুনিক পুলিশ বাহিনী গড়ে তুলতে তথ্য প্রযুক্তি বিভাগ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাথে কাজ করছে। ইতোমধ্যে এক হাজার থানাকে দ্রুতগতির ইন্টারনেট সংযোগের আওতায় আনা হয়েছে। ৯৯৯ নম্বর ব্যবহার করে দেশের যে কোন প্রান্ত থেকে যে কোন মানুষ পুলিশ, এম্বুলেন্স ও ফায়ার সার্ভিসের জরুরী সেবা পাচ্ছেন।
১৮৬৯ সালের ২০ মার্চ সিংড়া থানা স্থাপিত হয়। ১৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে সিংড়া থানা পুলিশ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।